Suicide: কোলের সন্তানকে নিয়ে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা মায়ের, চাঞ্চল্য তপনে

Tapan: মা এবং সন্তান ট্রেনে কাটা পড়েছে খবর চাউর হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

Suicide: কোলের সন্তানকে নিয়ে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা মায়ের, চাঞ্চল্য তপনে
রেললাইনে মা ছেলের দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 7:04 PM

তপন: কোলের সন্তানকে নিয়ে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন মা। রবিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার রামপুর সুহরিতে। মা এবং সন্তান ট্রেনে কাটা পড়েছে খবর চাউর হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতদের নাম কলি কণ্ডু মন্ডল (২৭) ও তাঁর ছেলে তাতাই মণ্ডল (৩)। কলির স্বামী শুভম মণ্ডল গত বছর পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। মৃতদের বাড়ি তপন থানার সুহরি এলাকায়। এ দিকে ট্রেনে কাটা পড়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় রেল ও তপন থানার অন্তর্গত রামপুর ফাঁড়ির পুলিশ। কী কারনে ওই ছেলেকে নিয়ে মা আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তপন থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর ছয়েক আগে গ্রামেই প্রেম করে বিয়ে করেন শুভম ও কলি। তাদের একটি পাঁচ বছরের মেয়ে ও তিন বছরের ছেলে রয়েছে। এদিকে গত বছর পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় শুভম। তার পর থেকেই সংসারে আর্থিক অনটন লেগেই ছিল বলে জানা গিয়েছে প্রতিবেশী সূত্রে। বাপের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়িতে ছিল না কোনও পুরুষ মানুষ। যার ফলে আর্থিক অনটন বেড়েই চলছিল। এরই মাঝে এদিন দুপুরে মায়ের সঙ্গে বচসা হয় কলির। এর পরই অভিমানে কোলের সন্তানকে নিয়ে শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে কলি ঝাঁপ দিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ঘটনায় কাটা পড়ে মা এবং সন্তান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ এবং তপন থানার অন্তর্গত রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ এবং তপন থানার পুলিশ। এবিষয়ে জিআরপি থানার ওসি দিলিপ মাহাতো বলেছেন, “ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সামনে ঝাপিয়ে পড়ে মা ও ছেলে আত্মঘাতী করেছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত হবে।“

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “মেয়েটি ছেলেকে কোলে নিয়ে রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হয়তো ট্রেনটি ওকে দেখে গতিও কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে বসে পড়ে। যার ফলে দু’জনই মারা যায়। এখন এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু কী কারণ তা বুঝতে পারছি না।“