UPSC : বেঙ্গালুরুর মোটা মাস মাহিনার প্রলোভন ছেড়ে এসে UPSC প্রথম ৫০-এ শিলিগুড়ির অভিজিৎ

UPSC Abhijit Das: ২০১৮ সালে প্রথম বারে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। প্রিলিম টপকাতে পারেননি। নিজেই স্বীকার করেছেন, সেই বার প্রস্তুতি খুব একটা ভাল ছিল না। তারপর আবার কোমর বেঁধে লেগে পড়েন। ২০১৯ সালে আবার পরীক্ষায় বসেন। আবারও ব্যর্থ প্রিলিমে।

UPSC : বেঙ্গালুরুর মোটা মাস মাহিনার প্রলোভন ছেড়ে এসে UPSC প্রথম ৫০-এ শিলিগুড়ির অভিজিৎ
ইউপিএসসিতে প্রথম ৫০-এ শিলিগুড়ির অভিজিৎ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 10:07 PM

শিলিগুড়ি : সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে ইউপিএসসির ফলাফল। আর সেই তালিকায় দেশের প্রথম পঞ্চাশের মধ্যে ঢুকে গিয়েছেন শিলিগুড়ির অভিজিৎ। সিভিল সার্ভিসে তাঁর এই সাফল্য উচ্ছসিত শিলিগুড়ি। সব থেকে আশ্চর্য করার বিষয় হল, যে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য সবাই বছরের পর বছর কোচিং ক্লাসে যায়, সেখানে চাকরি করতে করতেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান অভিজিৎ দাস। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েই পড়াশোনা। তারপর পড়াশোনা শেষে চাকরিও পেয়ে যান বেঙ্গালুরুতে। সেই চাকরি করতে করতেই তাঁর মধ্যে সিভিল সার্ভিসের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। ক্রমে সেই ইচ্ছা আরও প্রবল হয় ওঠে। সেখান থেকেই শুরু হয় সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনা। বেঙ্গালুরুর এক সংস্থায় চাকরি করতে করতেই সিভিল সার্ভিসের জন্য পড়াশোনা করতে থাকেন, আর তাতেই সাফল্য।

সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অনেকবার চেষ্টা করেছিলেন। ব্যর্থ হয়েছেন। তবু হাল ছাড়েননি। মনের মধ্যে ছিল এক হার না মানা জেদ। ২০১৮ সালে প্রথম বারে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। প্রিলিম টপকাতে পারেননি। নিজেই স্বীকার করেছেন, সেই বার প্রস্তুতি খুব একটা ভাল ছিল না। তারপর আবার কোমর বেঁধে লেগে পড়েন। ২০১৯ সালে আবার পরীক্ষায় বসেন। আবারও ব্যর্থ প্রিলিমে। পর পর দুই বার প্রিলিম পার করতে না পেরেও হাল ছাড়েননি। ২০২০ সালে আবার পরীক্ষায় বসেন। এবার প্রিলিম পাশ করেন, কিন্তু মেইনসে গিয়ে আটকে যান।

আবার নতুন করে লড়াই শুরু করেন। নিজের দুর্বলতাগুলিকে কাটিয়ে ওঠার লড়াই। বেঙ্গালুরুর মোটা মাস মাহিনার চাকরির প্রলোভন ত্যাগ করে চলে আসেন কলকাতায়। পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন ইউপিএসসির প্রস্তুতিতে। কোনওরকম কোচিং ছাড়াই চালাতে থাকেন প্রস্তুতি। অবশেষে আসে সাফল্য। চতুর্থ বারের চেষ্টায়। ২০২২ সালের তালিকায় দেশের প্রথম পঞ্চাশ জনের মধ্যে উঠে আসে শিলিগুড়ির অভিজিৎ রায়ের নাম। অভিজিৎ-এর বেড়ে ওঠা চিকিৎসক পরিবারে। বাবা চিকিৎসক মুকুল চরণ রায়। দার্জিলিং জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন। মা চন্দ্রা রায়ও একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। ছেলের এই সাফল্য খুশি তাঁরাও।