Darjeeling: গুরুং কি বোঝা হল? ‘ভোটের আগে জোট চাই না’, সুব্রত বক্সীকে চিঠি তৃণমূলের বিনয় তামাংয়ের
TMC: শনিবারের বৈঠকে বিনয় তামাং বলেন, জোটের কারণেই ফল খারাপ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলে আস্থা রাখলেও পাহাড়ে গুরুঙের মোর্চার প্রতি আস্থা দেখাননি।
দার্জিলিং: পুরভোটের ফল থেকে নয়া উপলব্ধি পাহাড়ের তৃণমূলের। এবার থেকে ভোটে একলা লড়াই করার কথাই ভাবছেন বিনয় তামাংরা। প্রতিটি আসনেই প্রার্থী চান দলের প্রতীকে। ভোটের আগে আর জোট (Pre Poll Alliance) নয়। এ সংক্রান্ত রিপোর্টও তাঁরা কলকাতায় পাঠিয়েছেন বলে জানান বিনয়। শনিবার শিলিগুড়িতে দার্জিলিং পুরসভার ফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন পাহাড় তৃণমূলের নেতারা। দার্জিলিং পুরসভার ৩২টি আসনের মধ্যে ১০টিতে প্রার্থী দিয়েছিল ঘাসফুল। জয় এসেছে ২টি আসনে। অন্যদিকে ২২টি আসনে বিমল গুরুং প্রার্থী দিয়ে ৩টি আসনে জেতেন। অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM) সব আসনে লড়াই করেছিল। তবে ৯টিতে জয় পায় তারা। অন্যদিকে হামরো পার্টি সব আসনে লড়াই করে ১৮টিতে জিতে দার্জিলিংয়ে পুরবোর্ড গঠন করেছে।
শনিবারের বৈঠকে বিনয় তামাং বলেন, জোটের কারণেই ফল খারাপ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলে আস্থা রাখলেও পাহাড়ে গুরুঙের মোর্চার প্রতি আস্থা দেখাননি। আগামিদিনে তাই আর ভোটের কোথাও জোট করতে চান না তাঁরা। এ প্রসঙ্গে বিনয় তামাং বলেন, “আগামিদিনে যে ভোটই আসুক আমরা তৃণমূল কংগ্রেস তাতে লড়ার জন্য তৈরি। এবার দল বলেছিল ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে আমাদের প্রতীকে প্রার্থী দিতে। আমরা দিয়েছি এবং ২ জন জিতেছেন। তবে ৩৮ শতাংশ ভোট কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে। আমরা আর ৭ শতাংশ বাড়ালে ৪০ শতাংশ হয়ে যাবে। তৃণমূলের জনপ্রিয়তা পাহাড়ে বাড়ছে। তাই আমাদের মনে হয় আগামিদিনে আর প্রি-পোল অ্যালায়েন্সর দরকার নেই। প্রয়োজন হলে ভোট পরবর্তী জোট বা পোস্ট-পোল অ্যালায়েন্সে যাব। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তৈরি করে আমরা আমাদের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও পাঠিয়েছি। আগে থেকে আমরা আর জোটে যাব না, এ কথা আমরা রিপোর্টে লিখেছি।”
কিন্তু তৃণমূল তো আনুষ্ঠানিকভাবে দার্জিলিংয়ে কোনও জোট করেনি! তা হলে? এ প্রশ্নের জবাবে বিনয় তামাং বলেন, “সকলেই জানেন ওদের ২২টি আসন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা ১০টি আসন পেয়েছি। এটা না হলে আমাদের ফল আরও ভাল হত। কারণ, ৩২টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের প্রার্থী থাকলে মানুষের একটা মন তৈরি করতে সুবিধা হয়। তাতে আমাদের দিকেই যেতেন মানুষ। আমাদের আরও ১০-১২টা ওয়ার্ড এসে যেত।”
বিনয় তামাংয়ের এই বক্তব্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পাহাড়ে এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন গুরুং? এই বিনয় তামাংই গত ডিসেম্বরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, “বিমল গুরুং আগে কলকাতায় এসেছিলেন। কথাবার্তাও হয়েছে। আমরাও এরপর সাক্ষাৎ করেছি। আমরা মিলেমিশেই কাজ করব। কলকাতা থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হবে সে কাজই আমরা করব।” তিন মাসও ঘোরেনি, নতুন সুর তামাংয়ের গলায়।
আরও পড়ুন: Madhyamik 2022: সোমবার থেকে শুরু মাধ্যমিক, সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির
আরও পড়ুন: Moynaguri: মানুষ জিতিয়েছেন, নিজে হাতে লাড্ডু বানিয়ে ওয়ার্ডবাসীকে খাওয়ালেন নির্দল কাউন্সিলর