Dengue: পুজোর আগে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, শুধু শিলিগুড়িতেই আক্রান্ত ৯৬২

Dengue: শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে অবশ্য ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে, এখনকার খামখেয়ালি আবহাওয়াকে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা না থাকার কারণেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের।

Dengue: পুজোর আগে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, শুধু শিলিগুড়িতেই আক্রান্ত ৯৬২
ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2022 | 5:40 PM

শিলিগুড়ি: ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও উদ্বেগ কমছে না। ডেঙ্গি চোখ রাঙানি আরও বাড়াচ্ছে শিলিগুড়িতে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬২। সরকারি হিসেব বলছে মৃতের সংখ্যা দুই। তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত চারজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পুজোর মুখে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

শিলিগুড়ি পুরনিগম থেকে অবশ্য ডেঙ্গি পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে, এখনকার খামখেয়ালি আবহাওয়াকে। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা না থাকার কারণেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। বিরোধী শিবির থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, পুর প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ করছে না। সেই কারণেই নাকি বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। আবার শাসক পক্ষের অভিযোগ, বিরোধী ওয়ার্ডগুলিতেই নাকি ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি হচ্ছে। এদিকে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।

প্রতি বছরই বর্ষার মরশুমে রাজ্যের প্রশাসনের কাছে অন্যতম একটি চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য ফি বছর বিভিন্ন পদক্ষেপ করে প্রশাসন। ফগিং মেশিন, স্প্রে, নিকাশি নালায় গাপ্পি মাছ ছাড়ার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয় স্থানীয় স্তরে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। জেলায় জেলায় সচেতনতামূলক কর্মসূচিও চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারমধ্যেও চোখ রাঙানি চালিয়ে যাচ্ছে ডেঙ্গি।

উল্লেখ্য, পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলিতে পৃথক ফিভার ক্লিনিক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকাবাসীদের শারীরিক অবস্থা, কারও জ্বর রয়েছে কি না, সেই সব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির জন্যও।