Elderly couple: ছেলের অত্যাচারে ছাড়েন ঘর, পথে নিখোঁজ স্ত্রী, শেষে নাটকীয়ভাবে সব ফিরে পেলেন বৃদ্ধ
elderly couple: সন্তানদের অত্যাচারে ছেড়েছিলেন ঘর। শেষে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৎপরতায় বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধা দম্পতি।
হুগলি: ছেলেদের অত্যাচারে ঘর ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি(Old Couple)। শেষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পুলিশের (Police) হাত ধরে ফিরলেন বাড়ি। সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যরা বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খোঁজ পেয়ে তাঁদের নিতে এলেও শুরুতে বাড়ি ফিরতে নারাজ ছিলেন তাঁরা। তবে শেষে পুলিশই তাঁদের থানায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বোঝায় বলে জানা যায়। শেষে পুলিশের তৎপরতাতেই বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা প্রফুল্ল দাস তাঁর স্ত্রী কানন দাসকে নিয়ে সাতদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন বলে জানা যায়। ডাক্তার দেখানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। অভিযোগ, দুই ছেলে ও এক বিবাহিত মেয়ে থাকলেও তাঁরা কেউই মা-বাবাকে দেখভাল করেন না। উল্টে সম্পত্তির জন্য চাপ দিতে থাকে বাবা-মাকে। এমনকী মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে কেওটা নেতাজী পার্ক এলাকায় বয়স্ক এক ভদ্রমহিলাকে ঘুরতে দেখে এলাকার কিছু যুবক। পথ ভুলেই হয়তো তিনি এই এলাকায় এসে পড়েছেন বলে সন্দেহ হয় এলাকার যুবকদের। এরপরেই স্থানীয় যুবক শুভেন্দু পাল ও তাঁর বন্ধুরা বৃদ্ধাকে নিয়ে চলে আসেন চুঁচুড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যর অফিসে। এদিকে তখনও জানা যায়নি বৃদ্ধের কথা।
এরপর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সদস্যরা বেশ কিছুক্ষণ বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন আসল ঘটনার কথা। বৃদ্ধাই তাঁদের বলেন কীভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পথেই স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। খবর যায় পুলিশে। শেষে নাটকীয় ভাবে ব্যান্ডেল স্টেশনে খোঁজ মেলে বৃদ্ধের। তার পর পুলিশের কাছে সন্তানদের হাতে কীভাবে দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়েছেন সে কথাও খুলেন বলেন ওই দম্পতি। তাঁদের আসল বাড়ি কথায় তাও জানান। এমনকী তাঁরা আর কোনওদিন ছেলেদের বাড়ি ফিরতে চাননা বলেও সাফ জানিয়ে দেন। বাড়ি ছাড়ার পর তাঁরা কয়েকদিন আত্মীয়দের বাড়ি ঘুরে শেষে ব্যান্ডেল স্টেশনে এসে পৌঁছান।
এরপরেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়। শেষে চুঁচুড়া থানার আইসি অনুপম চক্রবর্তীর তৎপরতাতে যোগাযোগ করা হয় নাকাশিপাড়া থানায়। খবর যায় পরিবারে। ছেলেরা ছুটে আসে। সূত্রের খবর, পুলিশের সামনেই বাবা-মা-কে দেখভালের প্রতিশ্রুতি দেয় ছেলেরা। শেষ পর্যন্ত মান-অভিমানের পালা শেষে বাড়ি ফিরে যেতে রাজি হয় ওই নদিয়ার ওই বৃদ্ধ দম্পতি।