Locket Chatterjee: ‘দিদির দূতরা চড় মারলে পাল্টা আরও পাঁচটা মারুন’, অগ্নিশর্মা লকেট

Locket Chatterjee: রবিবার বলাগড়ে তৃণমূল যুব নেতা (TMC Youth) কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের দাবিতে চলছিল বিজেপির যুব মোর্চার ধর্না। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Locket Chatterjee: 'দিদির দূতরা চড় মারলে পাল্টা আরও পাঁচটা মারুন', অগ্নিশর্মা লকেট
লকেট চট্টোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 5:17 PM

হুগলি: শনিবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি‘-তে (didir suraksha kavach) অভিযোগ জানাতে গিয়ে চড় (Slap) খেয়েছিলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। গতকালের সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এবার রবিবার এই ইস্যুতে মন্তব্য করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি বলেন, “অভিযোগ শুনতে না চাইলে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনান। দিদির দূতরা চড় মারলে পাল্টা মারুন।”

রবিবার বলাগড়ে তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের দাবিতে চলছিল বিজেপির যুব মোর্চার ধর্না। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ সেই ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে হুগলি লোকসভার সাংসদ বলেন, “চুরি করবে আবার চড়-থাপ্পর মারবে। চড় মারলে ধরে চার পাঁচটা দিন। দিদির দূতরা অভিযোগ না শুনতে চাইলে ঘরে বেঁধে রাখুন। সরকার তাঁদের। পঞ্চায়েত তাঁদের। আর জনগণের জন্য ওরা কাজ করবে না? আবার অভিযোগ করতে এলে থাপ্পর মারা? আমি সামনে থাকলে তো চারটে-থাপ্পর মারতাম।”

একই সঙ্গে তিনি বলেন, “দিদির দূত-দিদিকে বলো-সুরক্ষা কবচ বিভিন্ন রূপে রূপে আসছে। আসলে এগুলি একই জিনিস। বহু রূপে সেজে আসছে। সব এক-একটা চোর-ডাকাত। দিদির দূত আসছে, মাথার চুল থেকে পায়ের মখ পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত।বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবার বলছে কি অসুবিধা হচ্ছে। অসুবিধা তো ওরাই। ওদেরকেই পাঠানো হচ্ছে। আবার চড়-থাপ্পর মারছে। চড় মারলে ছেড়ে দেবেন না।”

পাল্টা এ প্রসঙ্গে হুগলি শ্রীরামপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা যুব সভানেত্রী রুনা খাতুন বলেন, “আমি শুনেছি মাননীয়া সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি বারবারই একই ঘটনা ঘটান। তিনি বলেছেন দিদির দূতেরা দিদির ভূত। আসলে ভূত দেখলে কারা ভয় পায়। আমি খুব অবাক হলাম দিদির প্রকল্প গুলো তিনি মুখস্ত বলে দিলেন। দিদির সুরক্ষা কবজ, দিদির দূত, দিদিকে বলো সবই। অর্থাৎ বিজেপি শংকিত এইসব উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে তারা বাংলা ছেড়ে পালানোর রাস্তা পাবে না। এমনিতেই বাংলাতে তাদের অস্তিত্ব নেই দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়। তারপর আবার তিনি বলছেন দিদির দূতেদের ধরে মারবেন।”

উল্লেখ্য, দত্তপুকুরে তৃণমূল কর্মীর হাতে যুবকের সপাটে চড় খাওয়ার ঘটনা ঘিরে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে এক যুবককে  মারেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের কর্মী। অন্যদিকে যাঁকে চড় মারা হয় তিনি বিজেপির মণ্ডল কমিটির সভাপতি বলে জানা গিয়েছে। নাম সাগর বিশ্বাস। তবে যুবকের রাজনীতির রং যাই হোক, বাম-ডান-বিজেপি নির্বিশেষে সকলেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। ওই যুবক নিজের বক্তব্য জানাতে গেলে তাঁকে শিবম রায় নামে ওই তৃণমূল কর্মী চড় মারেন বলে অভিযোগ। মুহূর্তে তুমুল হইচই শুরু হয়।