Sheoraphuli Murder: নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ, দশমীর দিন উদ্ধার কিশোরীর দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের
Hooghly: মৃতের বাড়ি শেওড়াফুলিতে। জানা গিয়েছে, পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে নবমীর দিন ঠাকুর দেখতে বের হয় ওই কিশোরী।
হুগলি: হুগলির জাঙ্গীপাড়ার পর এবার শেওড়াফুলী। নবমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ নাবালিকা। এরপর দশমীর সকালে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
মৃতের বাড়ি শেওড়াফুলিতে। জানা গিয়েছে, পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে নবমীর দিন ঠাকুর দেখতে বের হয় ওই কিশোরী। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরে অর্থাৎ বুধবার শেওড়াফুলি তিন ও চার নম্বর গেটের মাঝে রেল লাইন থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে শেওড়াফুলি জিআরপি।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে ঠাকুর দেখেতে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে মেরে ট্রেনের সামনে ফেলে দিয়েছে ওই তরুণ। এরপর এলাকাবাসী অভিযুক্তকে পোস্টে বেঁধে মারধরও করে। খবর পেয়ে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করে। ইতিমধ্যে শেওড়াফুলি জিআরপি থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
শনিবার হুগলিতে যান বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কিশোরীর বাবার কাছে জানতে চান পুলিশের তদন্ত প্রসঙ্গে। এরপর বিজেপি নেতৃত্ব থানায় গিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, ‘যাঁরা বলছেন পশ্চিমবঙ্গে মহিলা শিশুরা সব থেকে সুরক্ষিত তাহলে এই ধরনের ঘটনা বারবার করছে কেন? জাঙ্গীপাড়ার ঘটনা এক নাবালিকা শেওড়াফুলি থানার নাবালিকা খুন হয়েছে। শাসকদলের যারা কাউন্সিলর বিধায়ক জনপ্রতিনিধি আছেন তাঁরা কেউ পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। আমরা আছি।’ এরপর থানা থেকে বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সাংবাদিকদের জানান, খুনের মামলা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত সুস্থ হলে গ্রেফতার করা হবে। তার সঙ্গে আরও দু’জন ছিল তাদের খোঁজ চলছে। মৃতদেহ যখন ময়নাতদন্ত করা হয় তখন কোনও ভিডিওগ্রাফি করা হয়নি, রিপোর্ট এলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’ অপরদিকে, নাবালিকার বাবা জানান, ‘ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। সে সুস্থ হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে জিআরপি।’