Locket Chatterjee: ‘দুর্নীতিতে ভরা’ আবাস যোজনা তালিকা তৈরি করুক কেন্দ্রীয় সংস্থা, দাবি লকেটের
locket chatterjee: আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে অবাস যোজনার সমীক্ষা করছে। এই সমীক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাধা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
হুগলি: আবাস যোজনার নামের যে তালিকা রয়েছে সেই সমস্ত ভুয়ো তালিকা বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে নতুন করে বাড়ির তালিকা তৈরি করতে হবে। এমনটাই দাবি করলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে অবাস যোজনার সমীক্ষা করছে। এই সমীক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাধা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বুধবার গভীর রাতে বলাগরের গুপ্তিপাড়ায় আবাস প্লাসের সমীক্ষার কাজে নিযুক্ত এক আশা কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগে। তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ঘটনার পর দিনেই বলাগড়ের বিডিও ও পুলিশ ওই আশা কর্মীর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। শুক্রবার বলাগরের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী আশা কর্মীর বাড়িতে যান। আজ সেখানে পৌঁছন বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আশা কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “রাজ্য সরকারের তৈরি আবাস প্লাসের তালিকা দুর্নীতিতে ভরা। তৃণমূল এবং তৃণমূলের পরিবারের লোকেদের নামই তালিকায় অধিভুক্ত হয়েছে। সমীক্ষার কাজে যারা নিযুক্ত হয়েছেন তাদের নিরাপত্তা নেই। এদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আবাস যোজনা গোটা তালিকাই বাতিল করা হোক। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে নতুন করে তালিকা প্রস্তুত হোক।”
শ্রীরামপুর হুগলির সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের যুবনেত্রী রুনা খাতুন বলেন, “ওরা তো কথায় কথায় কেন্দ্রীয় সংস্থা দেখায় সিবিআই, ইডি। লকেট চট্টোপাধ্যায় কী জানেন কিভাবে এই তালিকা হয়েছে? উনি বলে দিচ্ছেন যে এটা ভুল তালিকা। গরিব মানুষরা কিছু ঘর পাবে, সেটা ওরা চায় না। তাই এতদিন টাকা আটকে রেখেছিল।”
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী কটাক্ষের সুরে বলেন, “সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বাংলার জন্য বা তাঁর এলাকার জন্য কোনও প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা আনতে পেরেছেন কি না জানি না। এমনকী বাংলার উন্নয়নের জন্য সংসদে কোনও কথা বলেছেন কি না সেটাও দেখিনি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজটা করেন নিয়মিত। ওখানে একটা আগুন লেগেছে প্রশাসন তদন্ত করছে। সব ব্যাপারে তৃণমূলকে দোষী করা ওদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আশা কর্মীর ছেলে বলেন, “এমন ঘটনা কোনওদিন হয়নি। থানা-বিডিও সকলেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সাংসদ এসেছিলেন। তিনিও পাশে থাকার অশ্বাস দিয়েছেন।”
উল্লেখ্য,