Manoranjan Bapari: ক্ষমা চেয়েও মাফ পেলেন না বিধায়ক, মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর

Manoranjan Bapari: প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে রুনা সম্পর্কে অশালীন বিশেষণ ব্যবহার করে তিনি লেখেন, ‘তোর হুমকিতে যে ভয় পায় পাক, আমি পাইনি। তোর চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করলাম।’ তারপরই অবশ্য সে পোস্ট ডিলিট করেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী

Manoranjan Bapari: ক্ষমা চেয়েও মাফ পেলেন না বিধায়ক, মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর
বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2024 | 5:16 PM

হুগলি: ফেসবুকে তৃণমূল যুবনেত্রী রুনা খাতুনকে বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী কুরুচিকর মন্তব্যের জের। বিধায়কের নামে  বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন নেত্রী। পাশাপাশি সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডুতে হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ দফতরে গিয়ে সরাসরি হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের সঙ্গেও দেখা করেন নেত্রী ও তাঁর স্বামী।

রুনা খাতুন বলেন, “বিধায়ক আমার নামে ব্যক্তিগতভাবে ফেসবুকে যে ভাষা লিখেছেন আমি জানি না, সুস্থ মস্তিষ্কের কোনও মানুষ এটাকে সমর্থন করেন কিনা। জনমত নির্বিশেষে প্রশ্ন কোন মহিলাকে এটা লেখা যায় ? ধিক্কার জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “নিজেই নিজের মানসিকতাকে উলঙ্গ করে দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর সম্পর্কে আমি আর কী বলতে পারি। জননীর জঠরের লজ্জা, ওঁর লজ্জা হওয়া উচিত। ওঁর যদি ক্ষমতা থাকে রাজনৈতিকভাবে সংগঠন করে মানুষকে নিয়ে মোকাবিলা করুন। উন্নয়ন হোক লড়াইয়ের। এইভাবে কুৎসা অপপ্রচারের নয়।”

পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ” এখনও সময় আছে, ওঁ ক্ষমা চেয়ে নিক দলের নির্দেশ মতো চলুক।”

যদিও কুরুচিকর মন্ত্যবের জন্য ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্ট করে ‘মস্ত ভুল ভুল হয়েছে’ বলে অনুরাগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিধায়ক । এবং পাল্টা লিখেছেন , “আমি লেখক , ওদের মতো নীচু নিকৃষ্ট জীব নই।”

যুব নেত্রী রুনা খাতুন সে প্রসঙ্গেই বলেন, “অশ্বত্থামা ইতি গজ হল না তো ? নিজেই লিখছেন,নিজেই ক্ষমা চাইছেন আবার নিজেই বলছেন, কে নিকৃষ্ট আর আর উৎকৃষ্ট? বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলেন পরিচয়। সেটা প্রমাণ হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্টে রুনা সম্পর্কে অশালীন বিশেষণ ব্যবহার করে তিনি লেখেন, ‘তোর হুমকিতে যে ভয় পায় পাক, আমি পাইনি। তোর চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করলাম।’ তারপরই অবশ্য সে পোস্ট ডিলিট করে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ” আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে ধর্ষকের যা স্ত্রী লিঙ্গ হয় তেমন একটা খিস্তি দিয়ে ফেলি ফেসবুকে। রাত দশটা নাগাদ সেই পোস্ট লিখবার দশ কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে বুঝতে পারি -একটা মস্ত বড় ভুল হয়ে গেছে । সাথে সাথে সেটা মুছে দিই। কিন্ত কয়েকজন- যারা সর্বক্ষন শকুনের মতো আমার প্রোফাইলে নজর পেতে বসে আছে তাঁরা সেটার স্কিনশর্ট নিয়ে নেয়।”