Goghat: ভারী বৃষ্টির জের! মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার

House Collapsed: জলের চাপে তার বাড়ির দেওয়াল পড়ে যায়।

Goghat: ভারী বৃষ্টির জের! মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 6:44 PM

গোহাট: নিম্নচাপের দুর্যোগে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ। চলছে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি। ক্রমশই জল বাড়ছে দামোদর ও তার শাখানদী মুন্ডেশ্বরী নদীতে। দুর্ভোগ আর দুর্যোগ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে জেলার। এরই মধ্যে মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় নামল শোকের ছায়া।

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কমলা দাস (৮৫)। তিনি গোঘাটের দিঘড়া এলাকায় থাকতেন। দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জল উপচে গোঘাটের এই এলাকা ব্যাপক হারে প্লাবিত হয়েছে।গতকাল থেকেই এলাকার মানুষ জন তাঁদের বাড়ি ছাড়তে থাকেন। কিন্তু এই বৃদ্ধা কোনও ভাবে বের হতে পারেননি । জলের চাপে তার বাড়ির দেওয়াল পড়ে যায়। সেই দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর এমনটাই অনুমান এলাকার বাসিন্দাদের।

আজ বিষয়টি নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। তৎক্ষণাত তাঁকে উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। বৃদ্ধাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুজোর আগেই বন্যা বিধ্বস্ত বাংলা। নিম্নচাপের বৃষ্টি যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তার উপর ত্রাস দ্বারকেশ্বর নদী। ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে একের পর এক গ্রাম। বন্যা বিধ্বস্ত হয়েছে বাঁকুড়া, হুগলির একাংশ।

গতকালই আরামবাগে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। এবার দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত গোঘাটের অধিকাংশ গ্রাম। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোঘাটের বালি, সাওড়া, ভাদুর ও কুমুড়সা গ্রামের মানুষ।

ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। নতুন করে বাঁধ না ভাঙে তার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের অপেক্ষা না করেই নিজেরাই বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করছে। এছা়ড়া বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

গতকাল রাত থেকেই জলবন্দী মানুষ। খাবার ও পানীয় জলের ব্যপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিঘার পর বিঘা জমি জলে তলিয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও দেখা মেলেনি গোঘাট প্রশাসনের এমনটাই খবর।

এরমধ্যে এল খারাপ খবর। গোঘাটের দিঘড়া এলাকায় দুই যুবকের জলে ভেসে খবর সামনে আসে। জলবন্দী দশা থেকে প্রাণে বাঁচতে উঁচু জায়গায় যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় জলের স্রোতে ভেসে যায় শুভাশিস দাস ও শিবু দাস । শুভাশিষকে উদ্ধার করা গেলেও শিবু দাসের খোঁজ চলছে। উদ্ধারের জন্য আনা হচ্ছে এনডিআরএফের টিম।

পাশাপাশি খবর মিলছে আরামবাগেরও। দ্বারকেশ্বরের জল উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে গোটা আরামবাগ শহর কার্যত জলমগ্ন। শহরের ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডই প্লাবিত। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে ২৫ টির মত ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজারের মত মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

আরও পড়ুন: House Collapsed: মাটির দেওয়াল ভেঙে ফের মৃত্যু, আহত ২, এবার ভগবানপুরে