AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arambag: দ্বার খুলে দিয়েছে দ্বারকেশ্বর! ভাসাল হুগলি, বাঁকুড়ার একাংশ

Arambag Flood: গতকালই আরামবাগে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

Arambag: দ্বার খুলে দিয়েছে দ্বারকেশ্বর! ভাসাল হুগলি, বাঁকুড়ার একাংশ
বন্যা কবলিত আরামবাগ
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 7:01 PM
Share

আরামবাগ: পুজোর আগেই বন্যা বিধ্বস্ত বাংলা। নিম্নচাপের বৃষ্টি যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। তার উপর ত্রাস দ্বারকেশ্বর নদী। ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে একের পর এক গ্রাম। বন্যা বিধ্বস্ত হয়েছে বাঁকুড়া, হুগলির একাংশ।

গতকালই আরামবাগে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে। এবার দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত গোঘাটের অধিকাংশ গ্রাম। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোঘাটের বালি, সাওড়া, ভাদুর ও কুমুড়সা গ্রামের মানুষ।

ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। নতুন করে বাঁধ না ভাঙে তার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের অপেক্ষা না করেই নিজেরাই বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করছে। এছা়ড়া বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

গতকাল রাত থেকেই জলবন্দী মানুষ। খাবার ও পানীয় জলের ব্যপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিঘার পর বিঘা জমি জলে তলিয়ে গিয়েছে। অথচ এখনও দেখা মেলেনি গোঘাট প্রশাসনের এমনটাই খবর।

এরমধ্যে এল খারাপ খবর। গোঘাটের দিঘড়া এলাকায় দুই যুবকের জলে ভেসে খবর সামনে আসে। জলবন্দী দশা থেকে প্রাণে বাঁচতে উঁচু জায়গায় যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় জলের স্রোতে ভেসে যায় শুভাশিস দাস ও শিবু দাস । শুভাশিষকে উদ্ধার করা গেলেও শিবু দাসের খোঁজ চলছে। উদ্ধারের জন্য আনা হচ্ছে এনডিআরএফের টিম।

পাশাপাশি খবর মিলছে আরামবাগেরও। দ্বারকেশ্বরের জল উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে গোটা আরামবাগ শহর কার্যত জলমগ্ন। শহরের ১৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডই প্লাবিত। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে ২৫ টির মত ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজারের মত মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

এদিকে, বন্যা দুর্গতরা অভিযোগ করছেন তাঁরা কোনও খাবার, ত্রান সামগ্রী পাননি। বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। এক ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাঁরা।

যদিও এই অভিযোগ সম্পুর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন পুর প্রশাসক। শুকনো খাবার,রান্না করা খাবার, ত্রাণ সামগ্রী ও দশ হাজার জলের পাউচ প্যাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুরপ্রশাসক স্বপন নন্দী।

জান গিয়েছে, দ্বারকেশ্বরের জল বইছে সব কটি রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে। এতে আরামবাগ-বর্ধমান,আরামবাগ-মেদিনীপুর, আরামবাগ-বাঁকুড়া,আরামবাগ-কলকাতা, আরামবাগ বন্দর ভেসে যাচ্ছে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

তবে কলকাতার দিকে সরকারি কয়েকটি বাস চালাচল করছে । মানুষ জন বিপর্যস্ত। বলা হচ্ছে, ১৯৭৮ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই দৃশ্য দেখা যায় নি। বহু বছর পর ফের বন্যায় ভাসল আরামবাগ ।

গতকালই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল খানাকুলে। জানা গিয়েছিল,ডিভিসি যদি জল ছাড়ে তাহলে ভাসবে খানাকুল। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের ফলে একদিকে যেমন শিলাবতী ও দারকেশ্বরের জল ক্রমশই বাড়ছে, অন্যদিকে মুন্ডেশ্বরী নদী দিয়ে ডিভিসির জল খানাকুলের পানশিউলিতে রূপনারায়ণে আসছে। ইতিমধ্যেই খানাকুলের আবারও বেড়েছে জলের চাপ।

আরও পড়ুন: TMC MLA: ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমা জলে বসে থেকেই প্রতিবাদ তৃণমূল বিধায়কের, অস্বস্তিতে দল