Potato Farmers: দেখা নেই শীতের, সঙ্গে গোদের উপর বিষফোড়া নিম্নচাপ, মাথায় হাত বাংলার আলু চাষিদের
Potato Farmers: আরামবাগের আলু চাষি মলয় দে, প্রভাকর নন্দীরা বলছেন, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্যই ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো পিছিয়ে গিয়েছে আলু চাষ। যদি বৃষ্টিপাত আরও বেশি হয় তাহলে আরও ৫-৭ দিন পিছিয়ে যাবে। এতে আলুর ফলন যেমন কম হবে তেমনই সামগ্রিক ক্ষতিও হবে।
আরামবাগ: দিনভর মুখ ভার আকাশের, শীতের দেখাও প্রায় নেই বললেই চলে। অন্য়ান্যবার ডিসেম্বরের শুরুতে যেখানে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়ে এবারে এখনও অনেকে গরম জামাই বের করেননি আলমারি থেকে। কখনও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, কখন আবার নিম্নচাপের ফাঁড়াতেই দফারফা হয়েছে শীতের। তাতেই মাথায় হাত বাংলার আলু চাষিদের। হুগলির আরামবাগ, তারকেশ্বর, ধনেখালির বিস্তৃর্ণ অংশে শীতে ব্যাপক আলু চাষ দেখা যায়। কিন্তু, এবারে ডিসেম্বরের এক সপ্তাহ পার হলেও শীতের দেখা না মেলায় চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। কিভাবে হবে ভাল ফলন, তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।
আরামবাগের আলু চাষি মলয় দে, প্রভাকর নন্দীরা বলছেন, আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্যই ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো পিছিয়ে গিয়েছে আলু চাষ। যদি বৃষ্টিপাত আরও বেশি হয় তাহলে আরও ৫-৭ দিন পিছিয়ে যাবে। এতে আলুর ফলন যেমন কম হবে তেমনই সামগ্রিক ক্ষতিও হবে। আলুর বীজেও পচন আসবে। আলুর বীজ বপনের আগে রাসায়নিক সারও ছড়ানো হয়েছে অনেক জমিতে। যদি আলু বসানোর কাজ আরও পিছিয়ে যায় তাহলে নতুন করে সার দিতে হবে জমিতে। সে ক্ষেত্রেও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন চাষিরা।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত হুগলিতে ৩০ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়েছে। এখনও সিংহভাগ জমিতেই আলু বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। এদিকে এরইমধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা সহ আশেপাশে জেলাগুলিতে গত কয়েকদিনে দু-এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। এখন নতুন করে আরও বৃষ্টি হলে সদ্য বসানো বীজ আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি আলুর বীজ নিয়েও জেলার নানা প্রান্তে ব্য়াপক কালোবাজারির ছবি সামনে এসেছিল। বস্তা প্রতি ২২০০ টাকায় বিকিয়েছে জ্য়োতি আলুর বীজ। চন্দ্রমুখী বিক্রি হচ্ছিল প্রায় ৩২০০ টাকায়। যদিও সেই দাম এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। চন্দ্রমুখী এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা, জ্যোতি ১১০০ টাকায়।