Potato Price: হলটা কী! এক ধাক্কায় আলুর দাম বাড়ল ১৫০-২০০ টাকা! পিলে চমকানোর জোগাড়!

Potato Price: ইতিমধ্যেই আলুর দাম বস্তা (৫০কিলো) পিছু গড়ে ১৫০-২০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে । এক বস্তা আলুর দাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা হয়েছে। সঙ্গে জমি থেকে আলু হিমঘর ও হিমঘর থেকে মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার খরচ বাবদ ৪৫০ টাকা অতিরিক্ত। উল্লেখ্য, এই ৪৫০ টাকা ধ্রুব থাকে।

Potato Price: হলটা কী! এক ধাক্কায় আলুর দাম বাড়ল ১৫০-২০০ টাকা! পিলে চমকানোর জোগাড়!
আলু কিনতে আধার কার্ড।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2024 | 1:52 PM

হুগলি:  আলু নিয়ে চরম সঙ্কট। বাজারে আলু অমিল। যাও পাওয়া যাচ্ছে তাতে এক কিলো আলু কিনতেই হিমশিম মধ্যবিত্ত। গুচ্ছ কচকচে নোট নিয়ে বাজারে গেলে থলে ভরছে অর্ধেক। সোমবার থেকেই কর্মবিরতি ডেকেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন। এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র বেরোয়নি। রাজ্য সরকারের সঙ্গে এদিনই বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁদের। সেখানে কিছুটা আশার আলো দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতিতে সোমবার পর্যন্তও সামিল হননি সিঙ্গুর ও হরিপালের আলু ব্যবসায়ীরা। তাতেই কিছুটা আশার আলো। বাজারে এখনও পর্যন্ত যা আলু দেখছেন, তা সিঙ্গুর ও হরিপালেরই। সোমবার সিঙ্গুর থেকে দিনে পাঁচশো বস্তা আলু বের হয়। এক বস্তায় থাকে ৫০ কিলো আলু।  সোমবার সিঙ্গুর ও হরিপাল থেকে ২০ হাজার মেট্রিক টন আলু বেরিয়েছে। সেই আলুই এখন কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।  মঙ্গলবার থেকে তাঁরাও কর্মবিরতিতে সামিল। ফলে বাজারের চক্র অনুযায়ী, জোগান কম, চাহিদা বেশি, অতঃপর চড়া দাম। সোমবারও কলকাতার বাজারগুলোতে জ্যোতি আলুর দাম ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা চন্দ্রমুখী ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার তা প্রতি ক্ষেত্রেই কিলো দরে অনেকটাই বেড়েছে। ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কিলো দরে আলু বিকোচ্ছে।

ব্যবসায়ীরাই বলছেন, বাজারে জোগানের অভাবে ইতিমধ্যেই আলুর দাম বস্তা (৫০কিলো) পিছু গড়ে ১৫০-২০০ টাকা বেড়ে গিয়েছে । এক বস্তা আলুর দাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। সঙ্গে জমি থেকে আলু হিমঘর ও হিমঘর থেকে মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার খরচ বাবদ ৪৫০ টাকা অতিরিক্ত। উল্লেখ্য, এই ৪৫০ টাকা ধ্রুব থাকে। অর্থাৎ এক বস্তা আলুর দাম যদি ২০০ টাকাও হয়, তাহলে তার সঙ্গে ৪৫০ টাকা খরচ হবে বাজার পর্যন্ত সেই আলু পৌঁছতে। ফলে এক বস্তা আলুর দাম এখন ১৭০০ টাকার বেশি। কিন্তু তারপরেও পর্যাপ্ত আলো মিলছে না বলে দাবি পাইকারি ক্রেতাদের। ২০ হাজার মেট্রিক টন হিমঘর থেকে বেরি

সিঙ্গুরের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী বলেন, “বনধে তো ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি। আলু তো স্টকে থেকে যাবে। আলু স্টোরেজ বেরিয়ে গেলেই ভালো। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যে বন্ধ ডাকতে বাধ্য হয়েছে। তবে আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই সেই বন্ধে সামিল নই।”

তবে দ্রুত সমস্যা সমাধান হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।মঙ্গলবার রাজ্যের সঙ্গে ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠক হওয়ার সম্ভবনা কথা জানিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বললেন, “সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বাজারে  তাঁদের কর্মবিরতি নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা করে একটা রাস্তা বেরোবে।”

প্রসঙ্গত, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পদাধিকারীদের অভিযোগ, ভিন রাজ্য আলু যাতে না যায়, তার জন্য বর্ডারে রীতিমতো পুলিশি জুলুমবাজি চলে।সরকার আলু ব্যবসায়ীদের জন্য কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করছে না। এরই প্রতিবাদে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা।