Amit Malviya: চোলাই খেয়ে মানুষ মরছে, ধামাচাপা দিতে চাইছেন মমতা: মালব্য
Howrah: অন্তত ৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।হাওড়া ও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের।
হাওড়া: কয়েকদিন আগে বর্ধমানে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার হাওড়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মদ খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর বুধবার থেকে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।হাওড়া ও কলকাতার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। বুধবার এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা টুইটারে লিখেছেন, ‘বাংলায় বিষমদ খেয়ে মানুষ মরছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিজেপির বিরুদ্ধে তার ‘জিহাদ’ জনসভার আগে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ সংগ্রহ করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে’
এ দিন ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ‘পুলিশও অন্যায় করলে ছাড় পাবে না।’ বস্তুত, বিষমদ খেয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নাম অনিল চৌরাশিয়া, রঞ্জিত গুপ্ত, অমিত কুমার বর্মন, লক্ষণ সাউ, বিশ্বজিৎ রায়, ত্রিভুবন পণ্ডিত, সুকুমার চৌধুরী, প্রকাশ মিত্র, রাজেশ্বর রায়, ও পার্থ প্রতীম রায়। অসুস্থ অবস্থায় কেউ ভর্তি রয়েছেন টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে, কাউকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে।
ঘটনাস্থান হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকার ঘুসুড়ির গজানন বস্তির ঘটনা। এলাকায় রেল লাইনের ধারে থাকা বস্তিতে প্রতিনিয়ত এই মদ বিক্রি করা হতে বলে দাবি বাসিন্দাদের। ছিল একাধিক মদের ঠেক। ঘটনায় প্রতাপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বস্তির লোকজনের দাবি, ওই ব্যক্তিই মদ বিক্রির মূল পাণ্ডা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মদ খাওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। মৃতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মদ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করায় বুধবার সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, দিনের পর দিন এই মদ বিক্রি চলছিল, সব জেনেও চুপ করে ছিল পুলিশ।