Howrah Delta Jutemill: বড়দিনে কাজ ফিরে পেলেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক, খুলে গেল ডেল্টা জুটমিল

Howrah Delta Jutemill: গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ ছিল হাওড়া ডেল্টা জুট মিল । শুক্রবার সকালে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার মধ্যস্থতায় এক বিশেষ বৈঠক হয় মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

Howrah Delta Jutemill: বড়দিনে কাজ ফিরে পেলেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক, খুলে গেল ডেল্টা জুটমিল
সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস তুলে নিল ডেল্টা জুটমিল কর্তৃপক্ষ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2021 | 8:27 AM

হুগলি: শনিবার সকালে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস প্রত‍্যাহার করে নিচ্ছে হাওড়া ডেল্টা জুট মিল । জানালেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। বড়দিনে মিল খোলার খবরে খুশির হাওয়া শ্রমিক মহলে‌।

গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ ছিল হাওড়া ডেল্টা জুট মিল । শুক্রবার সকালে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার মধ্যস্থতায় এক বিশেষ বৈঠক হয় মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বৈঠকের পর মন্ত্রী বেচারাম মান্না এক ভিডিয়ো বার্তায় জানান, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যে সিন্ধান্ত হয়েছে তা মেনে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর থেকে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক তুলে নিচ্ছে হাওড়ার ডেল্টা জুট মিলের মালিক পক্ষ। এদিন থেকেই রক্ষনাবেক্ষনের কাজ হবে। আগামী ১২ই জানুয়ারি থেকে মিলের প্রোডাকশন শুরু হবে। প্রায় ৩২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন এই জুটমিলে।

শ্রমমন্ত্রী বলেন, “নভেম্বর মাস থেকে ডেল্টা জুটমিল বন্ধ ছিল। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ভাবে আলোচনা করেছি জুটমিল খোলার জন্য। আজ ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে মিল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস তুলে নেওয়া হবে। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে। ১২ জানুয়ারি থেকে মিল খুলে যাবে।”

এর আগে ২০১৪ ও ২০১১ সালে বন্ধ হয়েছিল ডেল্টা জুটমিল। পুজোর আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। কারখানার গেটের বাইরে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। মিল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, ১৯৯৫ সালে শেষ বার ভোট হয় কারখানায়। তার পর ২০১৪ সালে ভোট হওয়ার কথা ছিল।

সাঁকরাইলের এই কারখানায় মোট তিনটি ইউনিট। সংস্থায় আর্থিক সঙ্কট চলায় মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২০০৬ সাল থেকে পরবর্তী তিন বছর অর্থাত্ ২০০৯ পর্যন্ত কারখানার দু’টি ইউনিটের শ্রমিকদের দৈনিক বেতন থেকে ২৫ ও ১৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। এতে শ্রমিক সংগঠনগুলি রাজিও হয়ে যায়।

কিন্তু টানা তিন বছর সেই টাকা দেওয়ার পর ২০০৯-এ শ্রমিকদের জমা টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা না দেওয়ায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে উত্পাদন ব্যাহত হয়। তখনও একবার কারখানা বন্ধ করে দেন কর্তৃপক্ষ। সমস্যা মেটাতে তত্কালীন শ্রমমন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসু মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে বৈঠকও করেন। এবারও শ্রমমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফের কারখানা খুলল।

আরও পড়ুন: Weather Update: বড়দিনে বাড়ল তাপমাত্রা, এখনই কি শীত বিদায়ের পূর্বাভাস?

আরও পড়ুন: একবার একান্ত আলাপচারিতায় মুকুলের একটি কথায় বিস্মিত হয়েছিলেন অনুব্রতও! এবার সামনে এল সেই প্রসঙ্গ

আরও পড়ুন: পুরভোটে অশান্তি হয়েছে কি না, জানতে আগ্রহী হাইকোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ