School Teacher Recruitment: শিক্ষক নেই, তালা পড়ল বাম আমলে তৈরি স্কুলে
Howrah News: ২০০৩ সালে তৈরি হয়েছিল ডোমজুড় ব্লকের অন্তর্ভুক্ত মাকড়দহ ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় পায়রাটুঙী গ্রামের নামেই পায়রাটুঙী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র তৈরি হয়। গ্রামের কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তি জমি দিয়েছিলেন স্কুল তৈরির জন্য। গ্রামবাসীরা জানান, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হচ্ছে এই স্কুল।
হাওড়া: বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের এক সরকারি স্কুল। জানা গিয়েছে, শিক্ষক সংখ্যা এতটাই কমে গিয়েছে যে তার অভাবে চলছে বন্ধ হয়েছে পঠন-পাঠন। একদিকে যখন শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য, সেই সময় শিক্ষকের অভাবে হাওড়ার ডোমজুড়ের মাকড়দহের একটি স্কুলের পঠন-পাঠন বন্ধ হয়ে গেল।
২০০৩ সালে তৈরি হয়েছিল ডোমজুড় ব্লকের অন্তর্ভুক্ত মাকড়দহ ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় পায়রাটুঙী গ্রামের নামেই পায়রাটুঙী মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র তৈরি হয়। গ্রামের কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তি জমি দিয়েছিলেন স্কুল তৈরির জন্য। গ্রামবাসীরা জানান, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হচ্ছে এই স্কুল। পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট। আগে এই স্কুল অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছিল। চেষ্টা চলছিল মাধ্যমিক পর্যন্ত করার। কিন্তু এরই মাঝে বন্ধ হয়ে গেল। এখন কার্যত খাঁ-খাঁ করছে স্কুলের চত্বর। চড়ছে গবাদি পশু।
শেখ জাহির নামে এক অভিভাবক বলেন, “স্কুল তো ভালই চলত। গ্রামের প্রায় তিনশো জন ছেলেমেয়ে পড়ত। একসময় এই স্কুলে অনেক নেতা মন্ত্রী এসেছিলেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন অনেক। কিন্তু সব এখন বৃথা। প্রথমে ছয় জন শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন। ২০১৮ সালের পর থেকে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা কমতে কমতে শেষে একজনে ঠেকেছে। নতুন করে আর নিয়োগ হয়নি। তাই বন্ধ করে দেওয়া হল।”
এই স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্র তাজ মহম্মদ বললেন, “খুবই খারাপ লাগছে।” মাকড়দহ দুনম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তনুশ্রী কর্মকার জানিয়েছেন স্কুলটি খোলার জন্য বিধায়ক ও প্রশাসনকে জানাবেন। ডোমজুর কেন্দ্রের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন, “স্কুলটি সর্ব শিক্ষা মিশন প্রকল্পের আওতাভুক্ত ছিল। এখন আর নেই। তবে শিক্ষা মন্ত্রীকে আমি আবেদন করেছি যাতে স্কুলটি খোলা যায়।” যদিও, স্কুল বন্ধ হওয়াকে মোটেই ভাল চোখে দেখেনি বামেরা। সিপিআইএম হাওড়া জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, “গোটা রাজ্যে অনেক প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হয়েছে। সবই বন্ধ হয়েছে। শুধু লুটে খাওয়ার জায়গাগুলো থাকবে।”
প্রসঙ্গত, ‘সকলের জন্য শিক্ষা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গ্রামে-গ্রামে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় এসএসকে বা শিশু শিক্ষাকেন্দ্র (প্রাথমিক পর্যন্ত) এবং এমএসকে (মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র,অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত) হাওড়া জেলা এমএসকে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া জেলায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ছিল ৩০৭। বর্তমানে যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪১। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র ২৭।এই সমস্ত স্কুল গুলির বেশ কয়েকটি ভালো চললেও অনেক স্কুলই ধুঁকছে শুধু মাত্র নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। তাই অদূর ভবিষ্যতে এইসমস্ত স্কুল চালু রাখতে সরকার কী উদ্যোগ নেয় এখন তাই দেখার।