TMC Leader: ঠোঁটে হাসি মুখে কুলুপ, বুক ফাটলেও মুখ ফুটল না জমি মামলায় ধৃত TMC নেতা দেবাশিসের
TMC Leader: গত ২৬ জুলাই রাতে তাঁকে আটক করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ২৭ জুলাই গ্রেফতার করে তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করলে আদালত তাঁর জামিন নাকচ করে। ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
জলপাইগুড়ি: জামিন পেলেন না বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা দেবাশীস প্রামাণিক। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি নতুন মামলায় গ্রেফতারের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে পুরনো মামলায় ফের ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। দিনভর ঠোঁটে হাসি থাকলেও মুখে কিন্তু কুলুপ। হাজার প্রশ্ন ধেয়ে গেলেও উত্তর কিন্তু এল না। সোজা কথায় বুক ফাটলেও মুখ ফুটল না দেবাশিসের। কার্যত এইভাবেই এদিন আদালতে দেখা মিলল বহিস্কৃত ওই তৃণমূল নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে রাজগঞ্জের বাসিন্দা জুলাপি রায়ের জমি দখল ও তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়েই চলছে শোরগোল।
গত ২৬ জুলাই রাতে তাঁকে আটক করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। ২৭ জুলাই গ্রেফতার করে তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করলে আদালত তাঁর জামিন নাকচ করে। ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের আদালতে তোলে পুলিশ। জুলাপি রায়ের মামলায় ফের তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। একইসঙ্গে ভোরের আলো থানা এলাকার বাসিন্দা ডালিম রায় গত ২৬ শে জুন তাঁর জমি দখল করার চেষ্টার অভিযোগ আনেন দেবাশীস প্রামাণিক ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় শোন অ্যারেস্টের আবেদন জানায় পুলিশ।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দেবাশিস প্রামাণিকের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। পাশাপাশি ভোরের আলো থানার নতুন একটি মামলায় পুলিশ শোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত তা মঞ্জুর করে দিয়েছে।”