Calcutta High Court: তদন্ত রিপোর্ট দেখাচ্ছে না হাসপাপাতাল, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে জলপাইগুড়ির মৃত প্রসূতির পরিবার
Calcutta High Court: এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দেন, “নিশ্চয়ই ওষুধ কিংবা স্যালাইনে ভেজাল আছে। তাই এরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে চাইছে না। আমাদের আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়নি।”
জলপাইগুড়ি: মেদিনীপুরের পর জলপাইগুড়ি। প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে চাপানউতোর চলছেই। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে গঠিত হওয়া ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি কী রিপোর্ট দিল তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের MSVP-র কাছে লিখিত আবেদন করতে আসেন মৃত প্রসূতির পরিবার। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখাই করেননি MSVP। উল্টে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া ডেপুটি সুপারের কাছে। তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও তাঁদের আবেদনপত্র গ্রহণ করেননি বলে খবর। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে ওই প্রসূতির পরিবার।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দেন, “নিশ্চয়ই ওষুধ কিংবা স্যালাইনে ভেজাল আছে। তাই এরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে চাইছে না। আমাদের আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়নি।” মৃতার পারলৌকিক ক্রিয়া মিটলেই তাঁরা হাইকোর্টের দারস্থ হবেন বলে জানান। অন্যদিকে এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গেও দেখা করেননি MSVP।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসবের পর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শান্তনা রায় নামে ওই প্রসূতি। প্রসবের পর কিডনি বিকল গিয়েছিল বোয়ালমারি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই মহিলার। এরপর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হলে গত ৩ সপ্তাহ ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৪ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। ৩ সপ্তাহ ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন থাকলেও কেন তাঁর ডাইলেসিস করা সেই প্রশ্নেই বাড়তে থাকে চাপানউতোর।