Jalpaiguri Bear Census: ডুয়ার্সে বাড়ছে ভাল্লুকের আনাগোনা, এবার গণনা শুরু করার পথে বনদফতর
Jalpaiguri Bear Census: গত বছরই অসম লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে এক জনের। একটি ভাল্লুকেরও মৃত্যু হয়।
জলপাইগুড়ি: শীত পড়তেই ভাল্লুকের আগমন ডুয়ার্সে। চিন্তিত বনদফতর। কারণ খুঁজতে রাজ্যে এই প্রথম ভাল্লুক গণনা করতে চলেছে বন দফতর। গত বছর প্রথম ভাল্লুক দেখা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের ইংডং চা-বাগান এলাকায়। এরপর ডুয়ার্সের মালবাজার, মাদারিহাট,বক্সা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। গত বছরই অসম লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে এক জনের। একটি ভাল্লুকেরও মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ভাল্লুকের আক্রমণে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। ডুয়ার্সের মালবাজার, ধূপগুড়ি, নাথুয়া এলাকায় দেখা মিলছে ভাল্লুকের। বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধূপগুড়িতে ভাল্লুক ধরাও পড়েছে। ডুয়ার্সের বনাঞ্চল এবং বন সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে ভাল্লুকের আতঙ্ক পৌঁছে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর এবং মালবাজার শহরেও।
মাল শহরে ভাল্লুক পৌঁছে গিয়েছিল একটি ভবনে যেখানে অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দিন কয়েক আগেই মেটেলি, মালবাজার, মাদারিহাট- সহ বেশ কয়েকটি চা-বাগানে দেখা মিলেছে ভাল্লুকের। তার মধ্যে গত ১৫ দিনে ৬ টি ভাল্লুককে উদ্ধার করেছে বন দফতর। এর মধ্যে আটিয়াবাড়ি চা-বাগান থেকে একটি, লতাবাড়ি থেকে ৩ টি, মেন্দাবাড়ি বন বস্তি থেকে দুটি। এর মধ্যে দুটি ভাল্লুককে বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। বাকি চারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ডুয়ার্সের মালবাজারে এখনও বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে ভাল্লুক। ভাল্লুকের অস্তিত্ব রক্ষার্থে ভাল্লুক গণনার সিন্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
রবিবার মূর্তির টেন্ট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবিরের পর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই গণনা শুরু হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। গোটা ডুয়ার্সেই এই গণনা হবে। বিয়ার কোরাল পদ্ধতিতে এই গণনা করা হবে বলে জানা যায়। এই পদ্ধতিটি হল যে সমস্ত জায়গায় ভাল্লুক দেখা গিয়েছে সেই জায়গাগুলিতে খাঁচা পাতা হবে এবং সেখানে ভাল্লুকের পছন্দের খাবার দেওয়া হবে। সেই খাবার খেতে এলেই ধরা পড়বে ভাল্লুক। তাতেই ভাল্লুকের সংখ্যা জানা যাবে। সংখ্যা নির্ণয়ের পর তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও এদিনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে বনাধিকারিকরা এখনই কিছু বলতে চাননি।