Ramakrishna Mission: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার অভিযোগে ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত
Jalpaiguri Court: আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই মামলার সঙ্গে ডাকাতির মামলাও যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই আর্জিও মঞ্জুর করেছে জলপাইগুড়ি সিজেএম-এর আদালত।
জলপাইগুড়ি: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনার অভিযোগে ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। রবিবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউজ়ে সশস্ত্র অবস্থায় দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় গতকালই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল ভক্তিনগর থানার পুলিশ। এদিন অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করে সাত দিনের জন্য অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। তবে আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই মামলার সঙ্গে ডাকাতির মামলাও যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই আর্জিও মঞ্জুর করেছে জলপাইগুড়ি সিজেএম-এর আদালত।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোর রাতে ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউজ়ে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও অধরা। তবে শম্ভু দাস, দেবাশিস সরকার, রাজীব বসাক, শুভম মাহাতো ও শ্যামল বৈদ্য – এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ধৃত ওই পাঁচজনকে বুধবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পেশ করেছিল পুলিশ। প্রসঙ্গত, ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা দাবি করতে থাকে, তারা নির্দোষ। তাদের ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন অভিযুক্তরা।
এদিকে আজ আদালত চত্বরে সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালত ডাকাতির ধারা যুক্ত করার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের তরফের আইনজীবী শান্তনু ভৌমিক জানান, তিনি তাঁর মক্কেলদের জন্য জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত তা না-মঞ্জুর করেছে। পরবর্তী সময়ে ফের জামিনের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।