Jalpaiguri Smuggling: লরি ভর্তি মিষ্টি কুমড়ো, তার ভিতরেই অর্ধ কোটি টাকার সম্পত্তি…চোখে ঝিলমিল পুলিশেরও
Jalpaiguri Smuggling: ছক বানচাল করলেন বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি: গাড়ি ভর্তি মিষ্টি কুমড়ো। দেখে বোঝরই উপায় নেই। কিন্তু দুঁদে কর্তার নজরে পড়েছিল স্রেফ একটা জিনিস। আর সেটা নিয়েই প্রশ্ন করেন চালককে। আর তাতেই পর্দাফাঁস। উদ্ধার অর্ধ কোটি টাকার সম্পত্তি। মিষ্টি কুমড়ো আড়ালে পাচার করা হচ্ছিল ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক। ছক বানচাল করলেন বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা। এই নিয়ে গত ৬ মাসে প্রায় ২২ কোটি টাকার বার্মা টিক উদ্ধার করল বৈকন্ঠপুর বন বিভাগ।
বেলাকোবা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তর কাছে গোপন সূত্র মারফৎ খবর আসে ৩১ নং জাতীয় সড়ক ধরে প্রচুর পরিমাণে বার্মা টিক পাচার করা হবে। খবর পেয়ে রানিনগর এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করেন তাঁরা।
এরপর সোমবার ভোর নাগাদ শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কের রানিনগর এলাকায় নির্দিষ্ট নম্বরের ১৪ চাকার লরিটি আসলে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু প্রথমে তাঁরা লরিতে মিষ্টি কুমড়ো দেখে হতাশ হয়ে পড়েন।
পরে কয়েক পিকাপ ভ্যান কুমড়ো নামাবার পর তাঁরা দেখেন সেখানে থরে থরে সাজানো আছে বার্মা টিক। সঙ্গে সঙ্গে লরিতে থাকা দুজনকে গ্রেফতার করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শেখ কলিম ও মহম্মদ নইম। তাঁরা দুজনেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁদের মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বৈকন্ঠপুর বন বিভাগ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ছ’মাসে প্রায় ২২ কোটি টাকার বার্মা টিক উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে আরও ৫১ টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় শতাধিক পাচারকারী। এই বিপুল পরিমাণ কাঠ কীভাবে অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারত থেকে জলপাইগুড়ি জেলা অবধি এসে পৌঁছল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।