Jalpaiguri Snake: ব্যাঙ্কের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আচমকাই চিৎকার গ্রাহকের… এক ঝলকে তাকে দেখেই শরীরে লোম খাঁড়া হয়ে গেল বাকিদের
Jalpaiguri Snake: কাউন্টারে টাকা জমা দেওয়ার লম্বা লাইন। আচমকাই কাউন্টারে দাঁড়ানো ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের চিৎকার গোটা বিষয়টির ছন্দপতন ঘটাল।
জলপাইগুড়ি: নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাঙ্কের দরজা খুলেছে। গ্রাহকরা আসতে শুরু করেছেন। ব্যাঙ্কে তখন চরম ব্যস্ততা। কাউন্টারে টাকা জমা দেওয়ার লম্বা লাইন। আচমকাই কাউন্টারে দাঁড়ানো ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের চিৎকার গোটা বিষয়টির ছন্দপতন ঘটাল। মুহূর্তে ব্যাঙ্কে হুলুস্থুলকাণ্ড। গ্রাহকরা দৌড়ে ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, ব্যাঙ্কের কর্মী, ম্যানেজাররা বোঝার চেষ্টা করছেন বিষয়টি আদৌ কী হয়েছে! তারপর ব্যাঙ্কের কোণায় রাখা জেনারেটরে নীচে চোখ পড়তেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল সকলের। একটা বিশালাকার গোখরো বসে রয়েছে তার নীচে। শোনা যাচ্ছে ফোঁস ফোঁস শব্দ। জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় ভয়ঙ্করকাণ্ড।
ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেলা ১১ টা নাগাদ এক গ্রাহক আচমকাই চিৎকার করে বাইরে বেরিয়ে যান। তখনও বাকিরা কিছু বুঝতে পারেননি। আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার পর ব্যাঙ্কের কর্মীরা বুঝতে পারেন, ঢোকার দরজার বাঁ দিকে রাখা জেনারেটরের নীচ থেকে ফোঁস ফোঁস শব্দ আসছে। টর্চের আলো ফেলতেই দেখা যায়, একটা গোখরো জেনারেটরের নীচে কুণ্ডলীকৃত অবস্থায় রয়েছে।
দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রাহকরা। তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে বার করে দেওয়া হয়। এরপর কর্মীরা খবর দেন স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিন জলপাইগুড়ির অফিসে। খবর পেয়ে টিম নিয়ে যান সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস।
সাপটি জেনারেটরের নীচে থাকা সামান্য ফাঁকা জায়গার তখন লুকিয়ে ছিল। বেশ কিছুক্ষণ তাঁরা সাপটিকে সেখান থেকে বার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সফল হন না। এরপর বাধ্য হয়ে জেনারেটরটিকেই চালু করে দেন তাঁরা। ভাইব্রেশনে সাপটি খানিকটা বেরিয়ে এলে তাকে উদ্ধার করেন।
জানা গিয়েছে, এটি একটি স্পেকটিক্যাল কোবরা । উদ্ধারের পর সাপটিকে উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেন তিনি। এক গ্রাহক বলেন, “আমাদের এ অভিজ্ঞতা প্রথম। চোখের সামনে সাপ উদ্ধার করতে দেখলাম। প্রথমটায় চিৎকার চেঁচামেচি হয়, আমরা সবাই একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এদিকে সাপটিও বোধহয় ভয় পেয়ে গুটিয়ে ছিল।”