Jalpaiguri: ফেসবুক ফ্রেন্ডের বাড়িতে এসেছিল ঘুরতে, এরপর থেকেই মোবাইলের সুইচড অফ! উধাও দুই কিশোর

Jalpaiguri: রবিবার বাড়ি ফিরবে বন্ধু। বাসে তুলে দিতে এসেছিল অপরজন। এর পর থেকেই খোঁজ নেই।

Jalpaiguri: ফেসবুক ফ্রেন্ডের বাড়িতে এসেছিল ঘুরতে, এরপর থেকেই মোবাইলের সুইচড অফ! উধাও দুই কিশোর
নিখোঁজ দুই কিশোর। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2022 | 9:54 PM

জলপাইগুড়ি: ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ২৪ ঘণ্টা পার করেও তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের অভিযোগ, রবিবার সকালে দুই বন্ধু বেরিয়েছিল। এরপর থেকেই নিখোঁজ তারা। দু’জনই উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র। পরিবারের অভিযোগ, ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে জেলার তিনটি থানায় ঘোরে তাদের পরিবার। কিন্তু কোনও থানাই অভিযোগ নেয়নি। একদিকে ছেলেদের খোঁজ নেই, তার উপর পুলিশের এমন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দুই পরিবারের সদস্যরা সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের দফতরে যান। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পালের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এরপরই উপরমহলের নির্দেশ আসার পর রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়। পুলিশ দুই পরিবারকেই হয়রান করেছে বলে অভিযোগ তোলে নিখোঁজ ছাত্রদের বাড়ির লোকজন।

রাজগঞ্জের কুকুরযান হাইস্কুলের ছাত্র তারিফ হোসেন (১৭)। তাঁর বাড়ি চাউলহাটি এলাকায়। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি বয়েজ স্কুলের বিজয় বিশ্বাসের (১৭) বাড়ি হাসপাতালপাড়া এলাকায়। পরিবারের দাবি, ফেসবুকে তাদের পরিচয়। গত শনিবার তারিফ হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায় বিজয়। দিনভর দুই বন্ধু ঘোরাফেরার পর রাতে তারিকের বাড়িতেই ছিল। রবিবার বিজয়কে বাসে তুলে দেওয়ার জন্য তারিক জলপাইগুড়ি কদমতলা এলাকায় যায়। এরপর থেকেই দু’জনের মোবাইল ফোনের সুইচড অফ। কোনওভাবেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

তারিফের বাবা মোবারক হোসেন বলেন, “ফেসবুকে আমার ছেলের সঙ্গে বিজয়ের আলাপ। রবিবার সকালে ওরা জলপাইগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। ১০টার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ নেই। ফোন বন্ধ বলে। এরপর দুপুরে বিজয়ের বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি ওখানেও ওরা যায়নি। বাধ্য হয়ে আমি জলপাইগুড়ি ফিরে কোতোয়ালি থানায় যাই। ওরা বলে রাজগঞ্জ থানার ব্যাপার ওখানে নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে। রাজগঞ্জে যেতেই এক দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। ফের বলা হয় কোতোয়ালিতে যেতে। সেখানে গেলে আবারও বলে রাজগঞ্জ থানায় যান। এই করতে করতে রাত পৌনে তিনটে বেজে যায়। ছেলেটার খোঁজ নেই। তার মধ্যে এসব। বাধ্য হয়ে সোমবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে যাই। ডিএসপির সঙ্গে কথা হয়। ওনার হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের হয়। সাধারণ মানুষকে পুলিশ যে কীভাবে হেনস্থা করে সেটা দেখলাম।” অভিযোগ নিলেও এখনও চিন্তা কাটছে না পরিবারের। ফোনের সুইচ বন্ধ করে দুই কিশোর কোথায় গেল তা ভেবেই কূল পাচ্ছে না পরিবার। এ প্রসঙ্গে ডিএসপি সমীর পাল বলেন,  “পুলিশের এ ধরনের ভূমিকা কখনওই ঠিক নয়। আমি জানি না কোন অফিসার ছিলেন ডিউটিতে। আমি তদন্ত করে দেখছি।”

আরও পড়ুন: Deocha Pachami Coal Mining Project: খাদান মালিকদের একাংশের মদতেই জোরাল হচ্ছে দেউচার আন্দোলন, তোপ মমতার

আরও পড়ুন: Deocha Pachami Coal Mining Project: ‘চাকরি, প্যাকেজের প্রলোভন দেখিয়ে মুখ বন্ধের চেষ্টা’, দেউচা পাচামির ক্ষতিপূরণ নিয়ে কটাক্ষ সূর্যকান্তের