Medical Negligence: মল গিলে সদ্যোজাতর মৃত্যু হাসপাতালে, অভিযোগই নিল না পুলিশ, আদালত দিল আসল চাপ

Medical Negligence: আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে সদ্যোজাতকে প্রথমে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

Medical Negligence: মল গিলে সদ্যোজাতর মৃত্যু হাসপাতালে, অভিযোগই নিল না পুলিশ, আদালত দিল আসল চাপ
মৃত্যু হল সদ্যোজাতরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2023 | 2:15 PM

জলপাইগুড়ি: ধূপগুড়ি তে স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতিতে শিশুর মৃত্যু! থানায় নেওয়া হল না অভিযোগ, আদালতের দ্বারস্থ হল পরিবার। শেষমেশ চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ থানায় জানাতে গিয়েও হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে পরিবারকে।

ধূপগুড়ি ভেমটিয়া গ্রামের বাসিন্দা সামিম রব্বানি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ১৬ তারিখ ভোরে হাসপাতালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন। ১৬ তারিখ সন্ধ্যায় হাসপাতালের বেডেই প্রসব করে ফেলেন প্রসূতি। হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের ডেকেও দেখা মিলেনি বলে অভিযোগ পরিবারের।  মল গিলে ফেলে সদ্যোজাত। তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরিবারের দাবি, এই পরিস্থিতিতে অনেক ডাকাডাকির পর কর্তব্যরত নার্স যান। কিন্তু ততক্ষণে সদ্যোজাতর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে সদ্যোজাতকে প্রথমে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরিবারের দাবি, এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। অভিযোগ না নিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দারস্থ হয় শিশুর পরিবার।

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ আনা হয়। মৃত শিশুর পরিবার পক্ষের আইনজীবী রূপা শীল বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতিতেই শিশু মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুর মা গুরুতর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে স্থানান্তর না করে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে পরিবার অসুস্থ শিশুর মাকে জলপাইগুড়ি মাতৃমা হাসপাতালে ভর্তি করে।”

পরিবারের দাবি, এই নিয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগ নেয়নি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।