Jalpaiguri: আলুর ‘দোষ’! ব্র্যান্ডেড দেখে কিনেও এক মাসেই পচন

Jalpaiguri: দেখতে পান আলুর বীজ, আলু তৈরির পরিবর্তে পচে যেতে শুরু করেছে। এক মাস যেতে না যেতেই মাটির তলায় পচে যেতে শুরু করছে আলুর বীজ। আর এটা দেখা মাত্রই চিন্তায় পড়ে যায় আলু চাষি সফিউল আলম।

Jalpaiguri: আলুর 'দোষ'! ব্র্যান্ডেড দেখে কিনেও এক মাসেই পচন
আলু চাষিরা ক্ষতিগ্রস্তImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2023 | 11:27 AM

জলপাইগুড়ি: নামীদামী কোম্পানির নামে নিম্নমানের আলু বীজ বিক্রির অভিযোগ! খেতে লাগানো আলু বীজ একমাস যেতে না যেতেই পচন ধরছে। মাথায় হাত আলু চাষির। ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মসজিদ পাড়া এলাকার ঘটনা। ধূপগুড়ি কৃষি আধিকারিকের কাছে অভিযুক্ত আলু বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়।

অভিযোগ, ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের মসজিদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা সফিউল আলম ধূপগুড়ি শহরের পিন্টু পাল নামে এক আলু বীজ ব্যবসায়ীর থেকে একমাস আগে বীজ কিনে সেই বীজ রোপন করেছিলেন। সেই বীজ রোপনের পর আলু গাছ কিছুটা বড় হতেই নিজে থেকে মরে যেতে শুরু করে। যা দেখে সন্দেহ হয় কৃষকের । মাটি খুঁড়ে দেখেন যে কী কারণে আলু গাছ গুলি মরে যাচ্ছে। আর মাটি খুঁড়তেই চোখ কপালে উঠে যায় কৃষকের।

দেখতে পান আলুর বীজ, আলু তৈরির পরিবর্তে পচে যেতে শুরু করেছে। এক মাস যেতে না যেতেই মাটির তলায় পচে যেতে শুরু করছে আলুর বীজ। আর এটা দেখা মাত্রই চিন্তায় পড়ে যায় আলু চাষি সফিউল আলম। সফিউল এবছর এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন ধূপগুড়ি শহরের সেই আলু বীজ ব্যবসায়ীর কাছে। তাকে গোটা ঘটনা জানান। কিন্তু সেই আলু ব্যবসায়ী কৃষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন সফিউল। এমনকি ক্ষতিপূরণ দিতেও অস্বীকার করেন বলে দাবি।

এরপরেই সেই কৃষক যান ধূপগুড়ির কৃষি অধিকর্তার কাছে। তাকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানান আলু বীজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। কৃষক ভেবেছিলেন অভিযোগ জানানোর পর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু উল্টে কৃষি দফতরের এক কর্মী ফোন করে কৃষককে বিষয়টি টাকা পয়সার বিনিময় মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে।

অভিযুক্ত আলু ব্যবসায়ী পিন্টু পালকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। এমনকি তার দোকানে থাকা কর্মচারীরাও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। আর এর থেকেই আরও বেশি সন্দেহ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের মধ্যে।

এবিষয়ে ধূপগুড়ির কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন,  “আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” তবে কৃষি দফতরের কর্মী ফোন কৃষককে টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।