Arrest of Tree: গাছের বিচার করছে মানুষ! ‘খুনের’ দায়ে ১০০ বছরের শাস্তি
Arrest of Tree: শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে ডুয়ার্সের ফানসিটি নামে একটি পর্যটন কেন্দ্রে। বাংলা তো ছাড়, ভূ-ভারতে আর এমন নজির কোথাও আছে কিনা মনে করতে পারছেন না কেউই। এদিকে বন্দি গাছকে দেখতে ইতিমধ্য়েই পর্যটকের ঢল নেমেছে ওই পর্যটন কেন্দ্রে।
বানারহাট: খুন হয়ে গিয়েছে আস্ত একখান গাছ। সেই অভিযোগেই অন্য একটি গাছকে একশো বছরের জন্য গ্রেফতার করা হল। ইতিমধ্যেই একেবারে লোহার শিকল বেঁধে বন্দি করে ফেলা হয়েছে সেই গাছকে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে ডুয়ার্সের ফানসিটি নামে একটি পর্যটন কেন্দ্রে। বাংলা তো ছাড়, ভূ-ভারতে আর এমন নজির কোথাও আছে কিনা মনে করতে পারছেন না কেউই। এদিকে বন্দি গাছকে দেখতে ইতিমধ্য়েই পর্যটকের ঢল নেমেছে ওই পর্যটন কেন্দ্রে। কৌতূহলের অন্ত নেই আম-আদমির।
যে গাছটিকে গাছকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নিচে ফলক দিয়ে গ্রেফতারির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফানসিটি পুলিশের তরফে। তাতেই লেখা, “গাছটিকে পুলিশ ১০০ বছরের জন্য গ্রেফতার করল। অন্য একটি গাছকে হত্যা করেছে এই গাছ। তার জায়গা কেড়ে নিয়ে নিজে বেড়ে উঠেছে। গ্রেফতারের তারিখ ২৭ শে জানুয়ারি ২০২৪ সন, মুক্তি ২৬ শে জানুয়ারি ২১২৪ সন।” শিকল বাধা সেই গাছের ছবি ইতিমধ্যেই ঘুরছে মানুষের ফোনে ফোনে। ধৃত গাছকে পাশে রেখে দেদার সেলফিও তুলল লোকজন।
প্রসঙ্গত, ১২৫ বছর আগে এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানে। মদ্যপ ব্রিটিশ অফিসার জেমস স্কুইড পাকিস্তানের পেশোয়ারে লেন্ডি কোটাল সেনা ছাউনিতে একটি বটগাছকে শিকল দিয়ে বেঁধে গ্রেফতার করেন। সেই গাছের গায়ে আজও শিকল দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘আমি গ্রেফতার আছি’। কিন্তু, ভারতে এই ধরনের নজির কোথাও নেই বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। গাছ গ্রেফতারির খবর পেতেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। এসেছিলেন পিংকি রায়। অবাক তিনিও। বলছেন, “এ ছবি তো আগে কথাও দেখিনি। আমরা অবাক। অনেক ছবি তুললাম। শুনলাম এই গাছটি নাকি অন্য একটি গাছকে মেরে ফেলে নিজে বেড়ে উঠেছে। সে কারণেই ওকে ১০০ বছরের জন্য বন্দি করা হয়েছে।”
ফানসিটির কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান বলছেন, “ওই গাছটা অন্য একটা মেরে ওর জায়গায় বেড়ে উঠেছে। মানুষ যদি মানুষকে হত্যা করে তাহলে তো সাজা হয়। তাহলে গাছেদের ক্ষেত্রে কেন হবে না? সেই ভাবনা থেকেই আমরা অবাঞ্চিতভাবে বেড়ে ওঠা গাছকে গ্রেফতার করেছি।” যদিও তাঁর বক্তব্যে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। আদৌও কী এইভাবে কোনও গাছকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা যায়? এর পিছনে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, পর্যটনকেন্দ্রে আরও বেশি করে লোকজন টানতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ফানসিটির লোকজন। সে কারণেই ফলকে ফানসিটি পুলিশের কথা বলা হয়েছে। আসলে এটা প্রতীকী গ্রেফতারি। যদিও সেটাও করা যায় কিনা সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।