Russia-Ukraine War: দিন বদলের অপেক্ষায় রাশিয়ান গবেষক, রাজ্যে এসে বললেন, ‘মানুষ যুদ্ধ চায় না’

Russia Ukraine War: ১৯৯৬ সাল থেকে ভারতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উপর গবেষণার কাজ শুরু করেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তাঁর যোগ।

Russia-Ukraine War: দিন বদলের অপেক্ষায় রাশিয়ান গবেষক, রাজ্যে এসে বললেন, 'মানুষ যুদ্ধ চায় না'
কী বলছেন রাশিয়ান গবেষক?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2022 | 7:10 AM

জলপাইগুড়ি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukriane War) আবহের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) রাশিয়ান জনজাতি গবেষক স্বেতলানা রাইজোকোভা। ভারতে এসে যুদ্ধ বিরোধিতার বার্তা দিয়ে গেলেন তিনি। বললেন, “সাধারণ মানুষ যুদ্ধ চায় না। কারণ, ওরা একে ওপরের আত্মীয়। আমিও শান্তির জন্য অপেক্ষা করছি।” জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই বার্তাই দিয়ে গেলেন রাশিয়ান গবেষক রাইজোকোভা। তিনি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে জনজাতি সংক্রান্ত বিষয়ের উপর গবেষণা করছেন তিনি। ভারতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী নিয়েও কাজ করেছেন।

১৯৯৬ সাল থেকে ভারতের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উপর গবেষণার কাজ শুরু করেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তাঁর যোগ। ২০০২ সাল থেকে উত্তরবঙ্গের টোটো, রাজবংশী, মেচ, রাভা-সহ ৩৮ টির বেশি জনগোষ্ঠী নিয়ে তিনি কাজ করছেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের এই সব জনগোষ্ঠীগুলি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। সেই গবেষণার থেকে যা যা তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে একটি বই লিখে ফেলেছেন রাইজোকোভা। রাশিয়ান ফাউন্ডেশন ফর ফান্ডামেন্টার রিসার্চ-এর আর্থিক সহযোগিতায় এই বইটি লেখেন তিনি রাশিয়ান ভাষায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে বসে ভারতে সেই বইটি প্রকাশ করেন তিনি। এর আগেও একাধিক গবেষণামূলক বই লিখেছেন তিনি। রাইজোকোভা জানান, এটি তাঁর দশম বই।

জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকেরও আয়োজন করা হয় এই বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে। সেখানে ওই বইয়ের বিভিন্ন তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জানানোর সময় বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর কথায়। দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে স্বেতলানা রাইজোকোভা বলেন, “আমি প্রত্নতত্ত্ববিদ। আমার কাজ অতীতের সঙ্গে বর্তমানকে যুক্ত করা, ভাঙা নয়। এই মুহূর্তে আমার দেশের সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারের যুদ্ধ চলছে। সাধারণ মানুষ এটা চায় না, কারণ ইউক্রেন এবং রাশিয়ানরা অনেকেই একে ওপরের আত্মীয়। আমি শান্তির জন্য অপেক্ষা করছি।”