Dhupguri By Election: রাজবংশী ভোটে চিড়! মিতালীকে পেয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু
Dhupguri By Election: মিতালীর বিজেপি-তে চলে যাওয়া কোনও ফ্যাক্টরই নয় তা বোঝাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু, প্রাক্তন বিধায়কের চলে যাওয়ায় রাজবংশী ভোটের যে একটা অংশ মুখ ফেরাবে তা মুখে না বললেও আঁচ খানিকটা করতে পেরেছে শাসকদল।
ধূপগুড়ি: রবিবার সকালে প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায় তৃণমূল ছাড়তেই ধূপগুড়িতে চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক পারদ। আসন্ন উপনির্বাচনে ইতিমধ্যেই জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে বিজেপি। ঢুকছে বাড়তি অক্সিজেন। অপরদিকে, মিতালীর বিজেপি-তে চলে যাওয়া কোনও ফ্যাক্টরই নয় তা বোঝাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু, প্রাক্তন বিধায়কের চলে যাওয়ায় রাজবংশী ভোটের যে একটা অংশ মুখ ফেরাবে তা মুখে না বললেও আঁচ খানিকটা করতে পেরেছে শাসকদল।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি ওকে যুবনেত্রীর সময় থেকে চিনি। ওর যোগদানে বিজেপি-র ভোট বাড়ল। আর মিতালী ধূপগুড়ির ভোটার। তাঁর নিজের বেশ কিছু অনুগামী রয়েছে। ফলে আমাদের ভোট নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পেল। এত আমাদের প্রার্থীর জয়ের মার্জিন বাড়বে।” বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মিতালী রায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিলেন। আন্দোলন করেছেন। কিন্তু সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।” দলবদলের পর মিতালী রায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “আমি লড়াইয়ের মানুষ। কামতাপুরি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। লড়াইয়ে থাকতে ভালবাসি। তৃণমূলে কাজ করার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। আমার মতো একজন রাজবংশী মানুষকে যদি ব্যবহার করতে না পারে সেটা দল বুঝবে। আমি ঘরে কেন বসে থাকব?”
তৃণমূল অবশ্য জিতার বিষয়ে আশাবাদী। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “গতকালও তৃণমূলের মিছিলে হেঁটেছেন। এখন বিজেপি-তে গিয়েছে শুনছি জানি না। ওনার কী মনে হয়েছে জানি না। কিন্তু এতে ফলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। ওইখানে আমরাই জিতব।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর কথায়, “গতকাল মিতালী রায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করার আবেদন জানিয়েছেন। এখন যদি তিনি বিজেপি-তে যোগদান করেন তাহলে তিনি কী বলে সেটা শোনার অপেক্ষায় আমরাও আছি।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এক সময় মিতালী রায় আলাদা রাজ্যের কথা নাকি বলতেন। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি তৃণমূলে। ফলে তৃণমূলের প্রশ্ন করার কোনও অধিকার নেই। ওরাই প্রশ্রয় দিয়েছে। অনন্ত মহারাজকে প্রশ্রয় দিয়েছ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহ দুজনই। কে কাকে বলবে? তাই তৃণমূল-বিজেপির কোনও ফারাক নেই।”