Dhupguri: চাকরি-রেশনের পর এবার গাছ চুরি!
Jaynagar TMC Leader Murder: শাসকদলের নেতাদের একাংশের মদতে এই ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ বিরোধীদের। জানা যাচ্ছে, রাস্তার পাশে থাকা গাছগুলির মধ্যে মূল্যবান সেগুনগাছগুলিকে করা হচ্ছে টার্গেট। বেছে বেছে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ধূপগুড়ি: চাকরি চুরি, রেশনের চাল-আটা-গম চুরির খবর তো শুনেছেন। এবার গাছ চুরি। তাও আবার খোদ সরকারি জমি থেকে দেদার সেগুন গাছ চুরির অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবটা জেনেও নাকি চুপ প্রশাসন।ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া কদমতলা থেকে জলঢাকা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার জেলা পরিষদ সড়কের দুপাশে রয়েছে বহু মূল্যবান গাছ। অভিযোগ, রাতের অন্ধকার তো বটেই দিনে দুপুরেও কেটে সাফ করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
শাসকদলের নেতাদের একাংশের মদতে এই ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ বিরোধীদের। জানা যাচ্ছে, রাস্তার পাশে থাকা গাছগুলির মধ্যে মূল্যবান সেগুনগাছগুলিকে করা হচ্ছে টার্গেট। বেছে বেছে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু পড়ে গাছের গুড়ি। এই ভাবে গাছ কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পরিবেশ প্রেমীরা। যদিও, গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। নীরব স্থানীয় পঞ্চায়েতও। ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা চন্দন দত্ত বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের জায়গা থেকে গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে লুট হয়ে যাচ্ছে এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। ধূপগুড়িতে এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা। বিডিও অফিসের ভিতরে শতাধিক গাছ রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যায়। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কোনও নজরদারি নেই ধূপগুড়ি তে। শাসকদলের মদত না থাকলে এইভাবে সরকারি জায়গা থেকে গাছ পাচার হতে পারে না কারণ ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলেই রয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা বৈদ্যনাথ রায় বলেন, “গাছ জীবন দেয় সকলে জানে তার পরেও কিছু মানুষ রাতের অন্ধকারে গাছ চুরি করে সাফাই করে ফেলছে। এখনো পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। জেলা পরিষদের গ্রাম পঞ্চায়েতে উচিত নজরদারি বাড়ানো।” অপরদিকে ফনিন্দ্রনাথ রায় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বলেন , “যারা রাতের অন্ধকারে করেছে তারা সমাজ বিরোধী। তারা এই ধরনের কাজ করে তারা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না। রাজনৈতিক দলের বলাটা ভুল হবে। এই গাছ কাটার বিষয়ে আমি বনদফতর কে জানিয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছি।”