Flash Flood: সাদা টপ, হাফ প্যান্ট, চিৎ হয়ে শুয়ে কিশোরী, পাশেই শোওয়া আরও এক মহিলা… নদীর বুকে এমন দৃশ্যে হতবাক স্থানীয়রা
Dhupguri: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানের এক সহকারি ম্যানেজারের আত্মীয়রা কলকাতা থেকে বেড়াতে যান গাঠিয়া চাবাগানে।
জলপাইগুড়ি: গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া বেশ দুর্যোগপূর্ণ। পাহাড়ে তো বৃষ্টি হচ্ছেই, তরাই, ডুয়ার্সেও বৃষ্টির পশলা। সিকিম, ভুটানের পাহাড়ে প্রবল বর্ষণ। তার জেরেই হড়পা বান গাঠিয়া নদীতে। জলের তোড়ে ভেসে এল দুই দেহ। নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চাবাগান এলাকায় রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানের এক সহকারি ম্যানেজারের আত্মীয়রা কলকাতা থেকে বেড়াতে যান গাঠিয়া চাবাগানে। এদিন পরিবারের লোকজন নদীতে স্নান করতে নামেন। আচমকাই বানের জল ভাসিয়ে নিয়ে যায় আটজনকে। কোনওমতে ছ’জন বেঁচে ফেরেন। তবে দু’জনকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে নদীর ধার থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। একজন অল্পবয়সী মেয়ে, অন্যজনের বয়স ৪০য়ের কোঠায়। পরে জানা যায় তাঁরা মা ও মেয়ে।
সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় নাগরাকাটা থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ দু’টি উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা জানান, আচমকাই তারা একটি অল্প বয়সী মেয়ের দেহ ভেসে আসতে দেখেন। পরণে ছিল সাদা টপ, কালো থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। দেখেই হইহই পড়ে যায়। ছুটে যান নদীর ধারে থাকা লোকজন। পরে দেখা যায়, আরও একটি দেহ ভেসে আসছে। পরণে লাল টপ, নীল পাজামা। দু’জনের মুখের আদলে যথেষ্ট মিল রয়েছে। তাতেই স্থানীয়দের অনুমান হয় তাঁরা মা মেয়ে। খবর পেয়ে ছুটে আসে নাগরাকাটা পুলিশ। ততক্ষণে চারপাশে খবর চাউর হয়ে যায়। এরইমধ্যে খবর আসে গাঠিয়া চাবাগানের সহকারি ম্যানেজার রূপক বিশ্বাস ও কলকাতা থেকে যাওয়া তাঁর আত্মীয়স্বজন এদিন পরিবার সমেত গাঠিয়া নদীতে স্নান করতে নেমেছিলেন। আচমকা পাহাড় থেকে আসা হড়পা বান ভাসিয়ে নিয়ে যায় আটজনকে। কোনওক্রমে ছ’জন প্রাণে বেঁচে গেলেও জলে ডুবে মৃত্যু হয় দু’জনের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সফি রহমান সরকার বলেন, “আজ হঠাৎ নদীতে বান আসে। সেই জলের তোড়ে একজন কম বয়সি মেয়ে ভেসে আসেন। স্থানীয়রাই তাঁকে তুলে ডাঙায় রাখেন। তারপর দেখা যায় মেয়েটি মারা গিয়েছে। জানতে পারলাম, পরে আরও একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় কিছু দূরে। তিনিও মহিলা। শুনছি তাঁরা মা এবং মেয়ে। এখনও পর্যন্ত সঠিক বলা যাচ্ছে না। এ কথাও বলাবলি করছে গাঠিয়া বাগানের কোনও অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজারের পরিবারের লোক হতে পারে। অনেকে বলছে বেড়াতে এসেছিলেন কলকাতা থেকে। এটা হলেও খুব খারাপ খবর। বাড়ি থেকে এত দূরে বেড়াতে এসে হড়পা বানে তলিয়ে মৃত্যু খুবই খারাপ খবর।”