‘মাছ-মাংস যেমন পচে যায়…’, গলছে শব, ধরছে পোকা, সারি সারি মৃতদেহের একই হাল!
Morgue: TV9 বাংলার প্রতিনিধি মর্গের ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে, বাধা দেওয়া হয়। তবে মর্গের দায়িত্বরত মুখ্য কর্মী স্বীকার করে নিয়েছেন ফ্রিজ খারাপ থাকার কথা। তাঁর দাবি, ফ্রিজ ছাড়া মাছ মাংস যেভাবে পচে যায়, সেভাবেই পচে যাচ্ছে সব মৃতদেহ।
মালদহ: সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নরকের চেহারা! রোগী তো দূর, কর্মীরাই টিকতে পারছেন না গন্ধে। নাকে গামছা-রুমাল বেঁধে কাজ করতে হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে টেকাই দায়। রাজ্যের আরও একটি মেডিক্যাল কলেজের বেহাল দশা সামনে এল এবার। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গের ৫টি ফ্রিজ। ৫টিই খারাপ। তাই দেহ সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কানে খবরটা পৌঁছলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
একের পর এক শব পচে-গলে যাচ্ছে। ধরছে পোকা। দ্রুত পচে যাচ্ছে সারি সারি মৃতদেহ। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে ৬টি ফ্রিজ বিকল থাকা সত্ত্বেও কারও কোনও হুঁশ নেই। TV9 বাংলার প্রতিনিধি মর্গের ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে, বাধা দেওয়া হয়। তবে মর্গের দায়িত্বরত মুখ্য কর্মী স্বীকার করে নিয়েছেন ফ্রিজ খারাপ থাকার কথা। তাঁর দাবি, ফ্রিজ ছাড়া মাছ মাংস যেভাবে পচে যায়, সেভাবেই পচে যাচ্ছে সব মৃতদেহ। কাজ করা যাচ্ছে না। পচে যাওয়া শব সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় যাচ্ছে, তা কারও জানা নেই।
শুধু মর্গ নয়, মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ওয়ার্ডের অন্যান্য ফ্রিজও খারাপ। এমএসভিপি-র দাবি, রাজ্য স্তরে স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনও। দাবি এমএসভিপি-র। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। ইচ্ছাকৃত ফ্রিজ খারাপ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, এভাবেই মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে। টেন্ডার সংক্রান্ত সমস্যায় কাজ আটকে আছে বলে দাবি এমএসভিপি-র।
এই খবরটিও পড়ুন
গোটা মালদহ জেলার একমাত্র মর্গ এটি। শুধু জেলার নয় এই মর্গে মৃতদেহ আসে পাশের বিভিন্ন তিনটি জেলা এবং বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও। ফলে কবে সব ঠিক হবে, সেই উত্তর নেই কারও কাছে।