Pradhan Mantri Awas Yojana: আর কতটা গরিব হলে ঘর পাওয়া যায়?’ মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য এইভাবেই পথে নামলেন সাধারণ মানুষ

Awas Yojana: মালদার বাসিন্দা সুকুমার রায়। ঝুরঝুরে বললেও ভুল হবে তাঁর বাড়ির অবস্থা। তবুও তাঁর নাম নেই 'আবাস যোজনা'-র তালিকায়।

Pradhan Mantri Awas Yojana: আর কতটা গরিব হলে ঘর পাওয়া যায়?' মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য এইভাবেই পথে নামলেন সাধারণ মানুষ
আবাস যোজনার ঘরের জন্য বিক্ষোভ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 4:53 PM

মালদা: আর কতটা গরিব হলে ঘর পাওয়া যায়? একদল হত দরিদ্র মানুষ হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ব্লক অফিসের সামনে। কারণ ভাঙাচোরা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম ওঠেনি ‘আবাস যোজনা’-র তালিকায়।

মালদার বাসিন্দা সুকুমার রায়। ঝুরঝুরে বললেও ভুল হবে তাঁর বাড়ির অবস্থা। তবুও তাঁর নাম নেই ‘আবাস যোজনা’-র তালিকায়। একা সুকুমারবাবু নন, এই রকম আরও অনেকেই রয়েছে সেখানে। সেই কারণে ‘আবাস যোজনা’ নিয়ে দুর্নীতি রুখতে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের ডাক তাঁদের।

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লাবাড়ি ও জনমদল এলাকার ‘আবাস যোজনা-‘র তালিকা থেকে বঞ্চিতরা ঘরের দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন। বঞ্চিত গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে, গাড়ি রয়েছে, রেফ্রিজারেটর আছে, জমি রয়েছে তাঁদের তালিকায় নাম আছে। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ, যারা সরকারি বাড়ি পেয়েছে সদ্য প্রকাশিত ‘আবাস যোজনা’-র তালিকায় তাদেরই নাম রয়েছে। এমনকী একেকটি পরিবারে দুই থেকে তিনটি বাড়ি এসেছে বলে অভিযোগ। অপরদিকে, গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারগুলি এই ঘর থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিক। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির অবস্থাই একেবারে বেহাল। কারও মাটির বাড়িতে টালির ছাউনি, কারও বা বাড়ির মাথায় কোনও রকমে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন দেওয়া। এক উপভোক্তা বলেন, “আমরা ভিখারি। কেউ আমাদের ঘর দেয়নি। আমরা একটা কাচাবাড়িতে থাকছি। তাও দেখি আমার নাম নেই।” এলাকার প্রধান পুষ্পরবি দাসের স্বামী বলেন, “২০১৮ সালের সার্ভের সময় অনেকের কাচা বাড়ি ছিল। চার বছর পর অনেকেই পাকা বাড়ি করেছেন। আর এখন যে সার্ভের তালিকা বেরিয়েছে। সেই তালিকা আমরা করিনি। আমাদের বদলানোর ক্ষমতাও নেই।”