Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গে মমতা, মমতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিনব ‘প্রতিবাদ’, ময়দানে তৃণমূল কর্মীরা
Jalpaiguri: গজলডোবার এই সেতুর অবস্থা বেহাল দীর্ঘদিন থেকেই। মেরামতির দাবিও উঠেছে লাগাতার। অবস্থা যে খারাপ তা মানছে প্রশাসনও। ৪ অক্টোবর ব্রিজ দিয়ে ৬ টনের বেশি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মালদহ: রোগ পুরনো। কিন্তু ওষুধ আসেনি। হয়নি চিকিৎসা। শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদে সরব ‘তৃণমূল’ কর্মীরাই। অবিলম্বে গজল ডোবা ব্রিজ দিয়ে ডাম্পার চলাচল করতে দিতে হবে। এই দাবিতে গজল ডোবা ব্রিজ আটকে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল প্রভাবিত ট্রাক ওনার্স অ্য়াসোসিয়েশনের সদস্যরা। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির মোট ৩টি তৃণমূল প্রভাবিত ট্রাক মালিকদের সংগঠন মিলিত হয়ে এই কর্মসূচি পালন করে।
গজলডোবার এই সেতুর অবস্থা বেহাল দীর্ঘদিন থেকেই। মেরামতির দাবিও উঠেছে লাগাতার। অবস্থা যে খারাপ তা মানছে প্রশাসনও। ৪ অক্টোবর ব্রিজ দিয়ে ৬ টনের বেশি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইট বার। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন বালি, পাথর ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত ট্রাক ও ডাম্পার মালিকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ঘুরপথে লড়ি বা ডাম্পার নিয়ে যেতে বেশি সময় লাগছে। এতে ফুরিয়ে যাচ্ছে রয়ালিটিতে দেওয়া সময়ের মেয়াদ। ফলে ডাম্পারের ব্যাবসা প্রায় বন্ধের মুখে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। চাপে শুধু ট্রাক মালিকেরাই নয়, কাজ হারাতে বসেছেন বালি পাথর লোডিংয়ের সঙ্গে জড়িত ডুয়ার্সের অন্তত ৫ হাজার শ্রমিক। সে কারণেই রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হলেন তাঁরা।
ডাম্পার মালিক সংগঠনের সম্পাদক গোবিন্দ দাস বলেন, প্রশাসন ৬ টনের বেশি গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ব্রিজ দিয়ে সিমেন্ট কিংবা লোহার রড বোঝাই গাড়ি-সহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করছে। কেবলমাত্র ডাম্পার আটকে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গাড়ির কিস্তি দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাঁর দাবি, এই গাড়ির উপরে নির্ভর করে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। তাঁরা কাজ হারানোর পথে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে সফরে রয়েছেন। তাই সমস্যা সমাধানে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। যদিও জেলাশাসক শামা পারভিন জানাচ্ছেন, ব্রিজ মেরামত সংক্রান্ত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)