ভোরবেলা অতর্কিত শিয়ালের হামলায় ত্রস্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, আহত ৪০

Maldah Harishchandapur: গ্রামবাসী সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠেই গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই শিয়ালের দল হামলা চালিয়ে কামড়াতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৪০জনকে কামড়ালেও ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ২০ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ভোরবেলা অতর্কিত শিয়ালের হামলায় ত্রস্ত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, আহত ৪০
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 1:12 PM

মালদহ: শিয়ালের হামলায় আহত হলেন একসঙ্গে ৪০ জন গ্রামবাসী। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার হরদমনগর গ্রামে। এই ঘটনার জেরে কার্যত ঘরবন্দি গোটা গ্রাম। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ছট পুজোও। জানা গিয়েছে শিয়ালের হামলায় কারও নাক, কারও আঙুল আবার কারও বা সারা শরীরে তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত।

এক সঙ্গে এতজন গ্রামবাসীর আহত হওয়ার ঘটনায় থমথমে পরিবেশ গোটা গ্রামজুড়ে। তবে পাল্টা হামলা চালিয়েছেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামবাসীদের হাতে ঘটনাস্থলেই মারা পড়েছে তিনটি শেয়াল। জানা গিয়েছে ভোরবেলায় এক সঙ্গে অন্তত জনা ১৫-২০টি শিয়াল আতর্কিতে হামলা চালায় হরদমনগর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে। সেই সময় গ্রামবাসীরা সদ্য ঘুম থেকে উঠেছেন। কেউবা প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রাতঃভ্রমণের, কেউ বা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছট পুজোর, আবার কেউ কেউ ঘরের কাজ করছিলেন। সেই সময় আতর্কিতে শিয়ালের হামলায় হতভম্ব হয়ে পড়েন তারা।

জানা গিয়েছে হামলা চালিয়ে শিয়ালের দল কয়েকজন গ্রামবাসীকে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। তাদের আক্রমণে এক গ্রামবাসীর আঙুলও খোয়া গিয়েছে। এক গ্রামবাসীর মুখের মাংসও খুবলে তুলে নিয়েছে শিয়ালের দল। এরপরই লাঠিসোটা নিয়ে শিয়ালদের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাদের গণপিটুনিতে মারা যায় তিনটি শিয়াল। আহত ৪০ জন গ্রামবাসীকে তড়িঘড়ি হরিশ্চন্দ্রপুপ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এদের মধ্যে কয়েকজনের আবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীদের তরফে লাঠি হাতে পাহারায় নেমেছেন। গোটা গ্রাম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধরা বাড়ি থেকে বেরতে ভয়ও পাচ্ছেন। জানা গিয়েছে রাতেও পাহারা দেবেন গ্রামবাসীরা।

এক গ্রামবাসী সিদ্ধার্থ শঙ্কর দাস জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠেই গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজ করছিলেন। সেই সময়ই আচমকাই শিয়ালের দল হামলা চালিয়ে কামড়াতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৪০জনকে কামড়ালেও ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ২০ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিদ্ধার্থবাবু আরও জানিয়েছেন এমন ঘটনা তারা এর আগে কখনও দেখেননি। তারা বন দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। নইলে গ্রামে বসবাস করা তাদের পক্ষে দুস্কর হয়ে উঠবে।

অন্যদিকে গ্রামের আরেক বাসিন্দা বাণী চৌধুরী জানিয়েছেন, ভোর চারটের সময় তাঁরা প্রাতঃভ্রমণে বেরনোর পরেই আচমকাই ওই শিয়ালের দল তাদের তাড়া করে। ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বেরতে পারছি না। বাচ্চারা শিয়ালের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছে। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি অবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার।

আরও পড়ুন: Big Boss 15: আচমকাই অসুস্থ! শো ছেড়ে হাসপাতালে ভর্তি রাকেশ, তাঁকে নিয়ে ‘রসিকতা’ সহপ্রতিযোগীর