ভিডিয়ো: এলাকায় ঢুকতেই ‘তাড়া খেলেন’ দিদির দূতরা!
Didir Suraksha kavach: এরমধ্যে আবার আর এক কাণ্ড! দিদির দূত হয়ে গ্রামে ঢুকতেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যকে তাড়া গ্রামবাসীদের। রীতিমত পালিয়ে বাঁচলেন তাঁরা।
সোমবার মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি ও তৃণমূল সদস্য প্রতিমা সিং এবং রফিকুল হোসেন বিনোদপুর গ্রামে গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ হয়ে। গ্রামে ঢুকতে না ঢুকতেই তাঁদের দেখে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা-জল-আবাস দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা একপ্রকার তাড়া করেন বলে অভিযোগ। রীতিমতো মারমুখী পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই বিষয়ে জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি যদিও বলেন, “মানুষের কথা বলার অধিকার কেন্দ্রের বিরোধী দল বিজেপি কেড়়ে নিতে চাইছে। মানুষ কথা বলার অধিকার পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন জনগণ কথা বলুক। এটা তো বিক্ষোভ হতে পারে না। এখানে মানুষ অসুবিধার কথা বলছেন। দিদির দূতরা এই কাজ করছে। ওদের তাড়া করেননি।” অন্যদিকে প্রতিভা সিং বলেন, “ওরা তাড়া করেনি। আমরা যাবতীয় কথা শুনতে এসেছি। এরপর একটি জনসভা আছে সেখানেই যাব বলে তাড়াহুড়ো করেছি। জোরে কথা বলাটা কি ক্ষোভ ?” যদিও, টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়ল অন্য ছবি। এদিন দিদির দূতরা এলাকায় পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে অভিযোগ দাগাতে থাকেন। কেউ বলেন রাস্তা হয়নি, কেউ বলেন পঞ্চায়েত কোনও কাজ করছে না। রীতিমতো বুঝিয়ে শান্ত করতে হয় তাঁদের।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “যত দিন যাবে মানুষ তত ভয় মুক্ত হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষ চাইছে। এটা তারই ফল।”