Maldah Crime: শখের জিনিসটা কিনে দেওর দেখাতে গিয়েছিলেন বৌদিকে, বুকে ক্ষত নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বধূ

Maldah Crime: রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বধূর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও গুলি এখনও বের করা যায়নি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Maldah Crime: শখের জিনিসটা কিনে দেওর দেখাতে গিয়েছিলেন বৌদিকে, বুকে ক্ষত নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বধূ
আক্রান্ত বধূ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 2:48 PM

মালদা: শখেই বন্দুক কিনেছিলেন। অন্তত তেমনটাই দাবি পরিবারের। আর শখের জিনিসটা দেখাতে গিয়েছিলেন বৌদিকে। তাতেই বিপত্তি। অসাবধানতায় বন্দুকের ট্রিগারে বেশি জোরে চাপ পড়ে যায় দেওরের। বাড়ির সকলের সামনেই গুলি বন্দুক থেকে বেরিয়ে বুক ফুঁড়ে যায় বৌদির। মালদহের কালিয়াচক থানার নারায়ণপুর গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে গুলিচালনায় অভিযুক্ত দেওরকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ বধূর নাম সাহিবা খাতুন। তাঁর বয়স ১৮।

সাহিবার স্বামী সারিউল শেখ পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। নারায়ণপুর গ্রামেই তাঁদের বাড়ি। বুধবার দুপুরে নতুন আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিলেন দেওর সাইদুল্লা। বৌদিকে দেখাতে গিয়েই ওই ঘটনা ঘটে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, অসাবধানতায় ওই ঘটনা ঘটেছে। বুঝতে না পেরেই ট্রিগারে একটু বেশি জোরে চাপ দিয়ে ফেলেছেন তিনি। বৌদি পাশে দাঁড়িয়ে থাকায়, সেই গুলি গিয়ে বিঁধেছে বধূর বুকে।

রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বধূর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও গুলি এখনও বের করা যায় নি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর পরেই বধূকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসক সত্যনারায়ণ শর্মা বলেন, ‘‘গুলি এখনও বধূর বুকেই আটকে রয়েছে। আমরা এখানে যতটা সম্ভব চিকিৎসা করেছি। কিন্তু আমাদের এখানে বুকের সার্জারি করার পরিকাঠামো নেই। তাই অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে বধূকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।” তবে ওই বধূ বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাইদুল্লাকে। বন্দুকটি তিনি কোথা থেকে পেলেন, কে তাঁকে কেনার অনুমতি দিয়েছিলেন, ওই বন্দুকটির আদৌ লাইসেন্স ছিল কি না, কী কারণে তিনি বন্দুক কিনেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি তদন্তকারীরা ওই মহিলার সঙ্গেও কথা বলতে চান। তাঁর বয়ানও এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবলই অসাবধানতা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।