Murder in Magrahat: তুলকালাম মগরাহাটে! পারিবারিক বিবাদের জেরে ২ ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপ প্রতিবেশীদের, মৃত ১
Murder in Magrahat: পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন প্রতিবেশীদের। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মগরাহাটে। ঘটনায় মৃত এক।
মগরাহাট: বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই, কিন্তু তার পরিণতি যে একেবারে খুন পর্যন্ত গড়াবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) মগরাহাটে (Magrahat) পারিবারিক বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন (Murder) করল প্রতিবেশী পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, জমি সংক্রান্ত বিবাদ ঘিরে গত কয়েক মাস ধরে বিবাদ চলছিল ইজাজুল শেখ ও বাবলু শেখের পরিবারের মধ্যে। সম্প্রতি, দুই পরিবারের সদস্যদের কটূক্তি করা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে দুই পরিবারের সদস্যরা। চরমে ওঠে বিবাদ। অভিযোগ, সেই সময় বাবলু শেখ ও তার পরিবারের জনা পাঁচেক সদস্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ইজাজুলের উপর। এলোপাতাড়ি ভাবে কোপানো হয় ইজাজুলকে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাট থানার মাহিতলা এলাকায়।
অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর ভাবে আহত হয় ইজাজুল শেখ (৩৫)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা মিন্টুকে মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাবলু শেখের পরিবাবের মারমুখী সদস্যদের বাধা দিতে গিয়ে ধারালো ইজাজুলের পাশাপাশি গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন নিহতের দাদা মিন্টু শেখ। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত প্রতিবেশী বাবলু শেখ ও দিলু শেখ সহ তাদের পরিবারের লোকজনেরা। যদিও তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতেনাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িতোরয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে”।
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আতঙ্কের বাতাবরণ রয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এমনকী প্রতিবেশীরাও ভাবতে পারছেন পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ভাবে প্রাণ যাবে ইজাজুলের। শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারে। এদিকে নতুন করে যাতে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায় তার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিশ। গোটা এলাকাতেই চাপা উত্তেজনা থাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশি প্রহরার। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।