‘গাছের খাবেন তলারও কুড়োবেন’! অনৈতিকভাবে অর্থ ‘আদায়’, শোকজ নোটিস পেলেন তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ

Murshidabad: কেন ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি দিনের পর দিন অর্থ গ্রহণ করে চলেছেন তা  জানতেই এদিন শোকজ করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। 

'গাছের খাবেন তলারও কুড়োবেন'! অনৈতিকভাবে অর্থ 'আদায়', শোকজ নোটিস পেলেন তৃণমূল পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ
বাঁদিকে তৃণমূল নেতা, ডানদিকে শোকজ নোটিস, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 9:45 AM

মুর্শিদাবাদ: পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। পদে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। আবুল বাশার নামের ওই তৃণমূল নেতা অনৈতিকভাবে দুই ক্ষেত্র থেকেই সরকারি অর্থ আত্মসাত্‍ করছেন এমনই অভিযোগ তুললেন বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লক আধিকারিক অংশুমান দত্ত। মঙ্গলবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে একটি শো-কজ নোটিসও পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বিডিও অংশুমান দত্তের অভিযোগ, তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্য়ক্ষ আবুল বাশার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। ফলে,  একদিকে শিক্ষক হিসেবে যেমন তিনি বেতন পেয়ে থাকেন তেমনই পঞ্চায়েত সদস্য় হিসেবেও সাম্মানিক ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু, নিয়মানুসারে, যেকোনও এক জায়গা থেকেই বেতন বা ভাতা নেওয়া যেতে পারে। অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাঁর শিক্ষকস্বরূপ বেতন তো গ্রহণ করেনই, পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে সেই ভাতাও গ্রহণ করেন, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। কেন ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি দিনের পর দিন অর্থ গ্রহণ করে চলেছেন তা  জানতেই এদিন শোকজ করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে।

পাল্টা অভিযুক্ত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, বিডিও অংশুমান দত্ত নিজে নানা বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বিভিন্ন  অনৈতিক কাজ করেন এবং নানা বেআইনি পদ্ধতিতে টাকা আত্মসাত্‍ করেন। আবুল প্রতিবাদ করায় পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতেই বিডিও অংশুমান দত্ত এই নোটিস পাঠিয়েছেন। যদিও, এই ঘটনায় দলকে পাশে পাননি অভিযুক্ত কর্মাধ্য়ক্ষ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিডিও থেকে প্রাপ্ত যথাযথ তথ্য়প্রমাণ পেয়েই আবুল বাশারকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। সময়ে উত্তর না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে দল এমনটাই খবর তৃণমূল দলীয় সূত্রে।

ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা কটাক্ষের সুরে বলেছেন, “গাছেরও খাবেন, তলারও কুড়োবেন তা কি হয়! ওই তৃণমূল নেতা যা করেছেন তা সর্বতোভাবে অনৈতিক। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই সামনে এল। বিডিও কি জানতেন না এত বছর ধরে ওই কর্মাধ্যক্ষ টাকা নিচ্ছেন? তাহলে এতদিন পর পদক্ষেপ করা কেন? এটা পুরোটাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।” আরও পড়ুন: ‘বিড়ি খাচ্ছিল ভাইপো, সেইসময়…’ জগদ্দলে শ্যুটআউটে গুলিবিদ্ধ কিশোর!