Durga Puja: দেবী দুর্গাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় তিন শতাব্দীর প্রাচীন এই পুজোয়
Durga Puja in Murshidabad: ভাগীরথীর পাড়ে সাহেববাজারের ঘোষালবাড়িতে বছরের পর বছর ধরে পারিবারিক রীতি রেওয়াজ মেনে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় এখানে। কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসা এই পুজোয় একটি অদ্ভুত রীতি আছে। দেবী দুর্গার প্রতিমাকে শিকল ও তালা দিয়ে বেঁধে রাখা হয় ঘোষালবাড়ির পুজোয়। কেন এই নিয়ম?
জঙ্গিপুর: মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ঘোষালবাড়ি। বছর বছর দেবী দুর্গার পুজো হয় সেখানে। ৩৬০ বছরের প্রাচীন এই পুজো। ভাগীরথীর পাড়ে সাহেববাজারের ঘোষালবাড়িতে বছরের পর বছর ধরে পারিবারিক রীতি রেওয়াজ মেনে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় এখানে। কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসা এই পুজোয় একটি অদ্ভুত রীতি আছে। দেবী দুর্গার প্রতিমাকে শিকল ও তালা দিয়ে বেঁধে রাখা হয় ঘোষালবাড়ির পুজোয়। কেন এই নিয়ম? দেবী প্রতিমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার এই নিয়ম অবশ্য শুরু থেকে ছিল না। কথিত আছে, একবার অষ্টমীর সন্ধিপুজোর সময় আচমকা একটি প্রজাপতি এসে বসেছিল। তারপরই দেবী প্রতিমার কাঠামো নড়ে উঠেছিল।
তারপর থেকেই দেবী দুর্গার প্রতিমাকে এখানে শিকল ও তালা দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পঞ্চমীর দিন থেকে এভাবে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় দেবী প্রতিমা। দশমী পর্যন্ত থাকে এই শিকল। দশমীর পুজোর পর শিকল খুলে দেন ঘোষাল পরিবারের সদস্যরা। এরপর যাবতীয় রীতি-রেওয়াজ মেনে ভাগীরথীর বুকেই হয় দেবী প্রতিমার নিরঞ্জন।
৩৬০ বছরের পুরনো এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা গয়ামণি গোস্বামী। অতীতে গোঁসাইবাড়ির (ঘোষালবাড়ির) সদস্যরা এই দেবী প্রতিমার পুজো করতেন। পরবর্তী সময়ে এই দুর্গাপুজোর আয়োজনের দায়িত্ব পান ঘোষালবাড়ির সদস্যরা। সেই থেকে জঙ্গিপুরে ভাগীরথীর পাড়ে সাহেববাজারের এই পুজো ঘোষালবাড়ির পুজো বলেই লোকমুখে প্রচলিত।
দেবী প্রতিমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার রীতি শুধু মুর্শিদাবাদের এই ঘোষালবাড়িতেই নয়, এই নিয়ম রয়েছে হুগলির ভদ্রেশ্বরের বিঘাটির চক্রবর্তী পরিবারেও। লোকমুখে কথিত আছে, একবার নাকি পুজো চলাকালীন দেবী দুর্গার প্রতিমা কেঁপে উঠেছিল। তারপর থেকেই সেখানে পুজোর পাঁচদিন দেবী প্রতিমার কাঠামোকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সেই পুজোও প্রায় তিন শতাব্দীর পুরনো।