Durga Puja 2022: ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে’, স্মার্টফোন-ইন্টারনেটের যুগেও মহালয়ায় ‘বীরেন্দ্র’ রেডিয়ো

Durga Puja 2022: দিনে দিনে আধুনিকতা আর সোশ্যাল মিডিয়ার দাপট বাড়লেও এ যুগে এখনও ব্রাত্য হয়নি রেডিয়ো। গুরুগম্ভীর কন্ঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্ত্রোত্রপাঠ আর পঙ্কজ মল্লিকের সুরে মহিষাসুরমর্দিনী আজও হিন্দোল তোলে বাঙালি মননে।

Durga Puja 2022: 'আশ্বিনের শারদ প্রাতে', স্মার্টফোন-ইন্টারনেটের যুগেও মহালয়ায় 'বীরেন্দ্র' রেডিয়ো
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 11:53 PM

মুর্শিদাবাদ ও আলিপুরদুয়ার: ইন্টারনেটের (Internet) অগ্রগতির হাত ধরে বর্তমান মানব সমাজ যেন ক্রমেই হয়ে উঠছে গতির পূজারি। গান শোনা থেকে সিনেমা সবই আজকাল টিভি, রেডিও থেকে এসে থেমেছে ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মুঠোফোনে। এদিকে বর্তমানে শরতের আকাশের দখল নিয়েছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের দল। বাঙালির ঘর আলো করে আসছে উমা। করোনা ফাঁড়া কাটিয়ে ফের নতুন উদ্যোমে পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা হতে চলেছে আপামর বাঙালি। রাহ পোহালেই মহালয়া (Mahalya)। আজকাল মহালয়া শোনার জন্য হাতে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি, রেডিওর জায়গায় জায়গা করে নিয়েছে ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু তারপরেও ঠিক এই দিন প্রতিবছরই বাঙালির মন কেমনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেই ফেলে আসা রেডিয়োর দল। মনে পড়ে যায় বীরন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের সেই গুরুগম্ভীর কণ্ঠস্বর। 

মহালয়ার ভোর মানেই একটা সময় প্রায় সব বাড়ি থেকেই রেডিয়োতে ভেসে আসত বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ। ঠিক ভোর ৪টের সময় গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘর থেকে শুধুমাত্র এই একটা কণ্ঠই শুনতে পাওয়া যেত। মহালয়ার সকালের এই দৃশ্যটা কয়েক বছরের পুরনো। তবে এখন সেই ছবিটা একটু হলেও বদলে গিয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বাঙালি আর রেডিয়োতে নয়, মোবাইলেই শুনে নেয় মহালয়া। কেউ আবার রিমোট হাতে নিয়ে বসে পড়ে টিভির সামনে। সেখানেও মহালয়া দেখা হয়। স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের জোড়া হামলায় সেই রেডিয়োর কদর এখন অনেকটাই ফিকে হয়েছে। আর রেডিয়োর দোকান গুলিতেও আর আগের মতো ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। রেডিয়োতে জমছে ধুলো। তবে প্রবীণদের মধ্যে এখনও রেডিয়োর চল দেখা যায়। 

রেডিয়োতে মহালয়া শোনার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আলিপুরদুয়ারের স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর ভৌমিক বলছেন, “রেডিয়োতে মহালয়া শোনার যে অনুভূতি সেটা টিভিতে পাওয়া যায় না। আর আমাদের প্রজন্ম স্মার্টফোন নিয়ে এখনও ওয়াকিবহাল নয়। তাই শেষ ভরসা রেডিয়ো।” এ প্রসঙ্গে ইলেক্ট্রনিক মেকানিক নারায়ণ সরকার বলেন,”স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের জোড়া হামলায় সেই রেডিয়োর কদর এখন অনেকটাই কমেছে। স্মার্টফোনের যুগে রেডিয়ো সারাইয়ের পার্টস আর পাওয়া যায় না।তবুও আমরা চেষ্টা করি অন্য কোনও ডিভাইস থেকে ব্যবস্থা করে লাগানোর। কারণ এর উপরেই নির্ভর করে থাকেন অনেক প্রবীণ।”