Murshidabad Bomb: ইউসুফ পাঠানের দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’, বোমাবাজিতে ঝলসে গেল এক শিশুর পা
Murshidabad Bomb: পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। জানা গিয়েছে, দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ব্লক সভাপতি মাঞ্জু শেখের গোষ্ঠীর সঙ্গে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ।

মুর্শিদাবাদ: ইউসুফ পাঠানের নামে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির মধ্যে গন্ডগোল। চলল বেপরোয়া বোমাবাজি। আহত এক শিশু-সহ মোট পাঁচ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়ায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। জানা গিয়েছে, দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ব্লক সভাপতি মাঞ্জু শেখের গোষ্ঠীর সঙ্গে রেজিনগরের বিধায়ক তথা বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে আন্দুলবেড়িয়া এলাকায় দেওয়াল লিখতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা রবিউল আলম গোষ্ঠীর অনুগামীরা। সে সময়ে আবার ওই এলাকায় ছিলেন ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সভাপতির অনুগামীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের তরফেই জানা গিয়েছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিবাদ অনেক পুরনো। মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হত। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে বিষয়টি আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অভিযোগ, দেওয়াল লিখনের সময়েই রবিউল আলমের গোষ্ঠীর লোকেদের ওপর হামলা চলে। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বাড়ির সামনেই ছিল বছর দশেকের এক নাবালক। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে ঝলসে যায় তার পা। বোমাবাজির মধ্যে পড়ে আহত হন আরও পাঁচ জন। ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদে বোমা ফেটে এক ব্যক্তির হাত উড়ে গিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। বিধায়ক রবিউল আলম বলেন, “এটা দুজনের পারিবারিক বিষয়, দেওয়াল লিখন না।” যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।





