অধীর চৌধুরীর এই জেলায় বরাবর আধিপত্য বজায় রেখেছে কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের হাত থেকে নবাবদের জেলা কাড়তে মরিয়া চেষ্টা চালায় তৃণমূল। আংশিক ভাবে সফলও হয় ঘাসফুল শিবির। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোটের জয় রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। সেই প্রভাব কী অব্যাহত থাকবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে? না ঘাসফুলেই ভরে থাকবে মুর্শিদাবাদ? জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ ফল দেখতে ক্লিক করুন সংশ্লিষ্ট জেলায়⇒
⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓
পূর্ব মেদিনীপুর || বাঁকুড়া || পশ্চিম বর্ধমান || পূর্ব বর্ধমান || বীরভূম || কোচবিহার || দক্ষিণ দিনাজপুর || হুগলি || হাওড়া || জলপাইগুড়ি || ঝাড়গ্রাম || উত্তর দিনাজপুর || মালদহ || আলিপুরদুয়ার || পঃ মেদিনীপুর || মুর্শিদাবাদ || নদিয়া || উত্তর ২৪ পরগনা || দক্ষিণ ২৪ পরগনা || পুরুলিয়া || দার্জিলিং || কালিম্পং |
⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑
………………………………………………………………………………………………………………………………………
জেলার বোর্ড ভিত্তিক ফল ২০২৩ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ত্রিস্তর | মোট আসন | তৃণমূল | বিজেপি | কংগ্রেস | বাম | অন্যান্য | ত্রিশঙ্কু |
গ্রাম পঞ্চায়েত | ২৫০ | ২২১ | ২ | ২ | ৫ | ০ | ২০ |
পঞ্চায়েত সমিতি | ২৬ | ২২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ০ |
জেলা পরিষদ | ৭৮ | ৭২ | ০ | ৪ | ২ | ০ | ০ |
…………………………………………………………………
জেলা পরিষদ আসন ভিত্তিক ফল | ||
---|---|---|
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ৭০ | ৭৮ |
তৃণমূল | ৬৯ | ৭২ |
বিজেপি | ০ | ০০ |
বাম | ০ | ০২ |
কংগ্রেস | ১ | ০৪ |
অন্যান্য | ০ | ০০ |
পঞ্চায়েত সমিতি আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ৭৩৬ | ৭১৯/৭৪৮ |
তৃণমূল | ৬৯০ | ৪৭৫ |
বিজেপি | ১২ | ৪৮ |
বাম | ৪ | ৫৬ |
কংগ্রেস | ৫৫ | ১৩৩ |
অন্যান্য | ৯ | ০৭ |
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ৪১৭১ | ৫৪৭৫/৫৫৯৩ |
তৃণমূল | ৩৭১৯ | ৩০৪২ |
বিজেপি | ১২৪ | ৫১৩ |
বাম | ৮০ | ৫৮১ |
কংগ্রেস | ১৮৮ | ১১২২ |
অন্যান্য | ৬০ | ২১৭ |
মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Panchayat Election Results 2023)জেলাকে বাংলার রাজনীতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর গড় হিসেবে ধরা হয়। সেই বাম জমানা থেকেই কংগ্রেসের বেশ দাপট রয়েছে এই জেলায়। এখন অবশ্য তা অনেকটাই ফিকে। অধীর একাই সবেধন নীলমণির মতো সংগঠন আগলে রাখার চেষ্টা করছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে মাত্র জিতেছিল কংগ্রেস। বহরমপুর থেকে অধীর। বিধানসভা ভোটে ২২টা আসনের মধ্যে একটাতেও দাঁত ফোটাতে পারেনি। পরে অবশ্য উপনির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে বাইরনকে পেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তিনিও এখন তৃণমূলে।
গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে পেয়েছিল কংগ্রেস এই জেলায়। জেলা পরিষদেও একটি আসন রাখতে পেরেছিল নিজেদের হাতে। সেখান থেকে পাঁচ বছর পেরিয়ে রাজ্যে আবার পঞ্চায়েত ভোট। তৃণমূল-বিজেপির দ্বিমেরু লড়াইয়ের মাঝে কংগ্রেস কি আবার নিজের সাংগঠনিক শক্তির প্রমাণ দিতে পারবে? সেই দিকেই তাকিয়ে মুর্শিদাবাদের মানুষজন।
৭১ লাখেরও বেশি মানুষের বাস এই জেলায়। গ্রামীন জনসংখ্যা প্রায় ৮০ শতাংশ। তাঁদের একটি বড় অংশ মূলত চাষবাসের উপরেই নির্ভর করে থাকে। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, এই জেলায় মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশেরও বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
জেলার আয়তন ৫ হাজার ৩২৪ বর্গ কিলোমিটার
শিক্ষার হার কিছুটা চিন্তার বিষয়। প্রায় ৬৩.৮৮ শতাংশ স্বাক্ষরতার হার।
লোকসভা আসন ৩টি
বিধানসভা আসন ২২টি
২০১৯ সালের লোকসভায় বহরমপুর আসনটি অধীর নিজের কব্জায় রেখেছিলেন। বাকি দুটি আসনে তৃণমূল।
একুশের বিধানসভা ভোটে ২২টির মধ্যে ২০টিই নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল। বাকি দুটি পেয়েছিল বিজেপি। যদিও সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন বাইরন বিশ্বাস। তবে নির্বাচনের পরে তিনিও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
গ্রাম পঞ্চায়েত ২৫০টি, আসন রয়েছে ৪১৭১টি
পঞ্চায়েত সমিতি ২৬টি, আসন রয়েছে ৭৩৬টি
জেলা পরিষদে আসন রয়েছে ৭০টি
তৃণমূল জিতেছিল ৩৭১৯টি আসনে
বিজেপি জিতেছিলল ১২৪টি আসনে
সিপিএম জিতেছিল ৬৭টি আসনে
কংগ্রেস জিতেছিল ১৮৮টি আসনে
তৃণমূল জিতেছিল ৬৯০টি আসনে
বিজেপি জিতেছিলল ১২টি আসনে
সিপিএম জিতেছিল ৩টি আসনে
কংগ্রেস জিতেছিল ২৪টি আসনে
তৃণমূল জিতেছিল ৬৯টি আসন
কংগ্রেস জিতেছিল ১টি আসন