Hanskhali Physical Harassment Case: আবারও সেই হাঁসখালি, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর মুখ বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ, স্কুল শিক্ষকদের তৎপরতায় গ্রেফতার অভিযুক্ত

Hanskhali Physical Harassment Case: নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সন্ধ্যায় ছাত্রীর মা প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যান। রাত আটটা নাগাদ দশ বছরের ওই কিশোরী তার মাকে প্রতিবেশীর বাড়িতে ডাকতে যায়।

Hanskhali Physical Harassment Case: আবারও সেই হাঁসখালি, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর মুখ বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ, স্কুল শিক্ষকদের তৎপরতায় গ্রেফতার অভিযুক্ত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2022 | 10:58 PM

নদিয়া: হাঁসখালিতে আবারও এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। ভয় দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে সমস্ত ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। শেষমেশ এগিয়ে আসেন নাবালিকার স্কুলের শিক্ষিকারা। তাঁদের উদ্যোগে চাইল্ড লাইনের মধ্যস্থতায় অভিযোগ দায়ের করা হয় হাঁসখালি থানায়। পক্সো আইনে মামলার রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সন্ধ্যায় ছাত্রীর মা প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যান। রাত আটটা নাগাদ দশ বছরের ওই কিশোরী তার মাকে প্রতিবেশীর বাড়িতে ডাকতে যায়। অভিযোগ, তখন বছর পঞ্চাশের অভিযুক্ত প্রতিবেশী তার মুখে গামছা দিয়ে চেপে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন।

কাউকে কিছু বললে নাবালিকাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু মেয়ের অবস্থায় দেখে কিছু আঁচ করতে পারেন মা। তিনি চেপে ধরতেই মেয়েটি সব বলে ফেলে। পরিবারের দাবি,  এরপর বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারকে টাকা নিয়ে সমস্ত ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন অভিযুক্ত।

নির্যাতিতার বাবা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের বিষয়টি জানান। তাঁরা চাইল্ড লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চাইল্ড লাইনের উদ্যোগে হাঁসখালি থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। রানাঘাট আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ৩৭৬/১২০B সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই হাঁসখালিতে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। প্রমাণ লোপাট করতে আবার শ্মশানে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ওঠে তুঙ্গে। কারণ তাতে মূল অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতার ছেলের নাম। এই রেশ কাটার আগেই এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়াল।