Mamata-Mukul: পাশাপাশি মমতা-মুকুল কি অতীত? একমঞ্চে থেকেও দূরত্ব রইল অনেকখানি

Mamata-Mukul: জল্পনা সত্যি করে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের জনসভায় একমঞ্চে মমতা-মুকুল। রায়সাহেবের নামও শোনা গেল মমতার গলায়। কিন্তু ব্যস ওইটুকুই। জেলার আর সব নেতাদের নাম যখন দলনেত্রী বলছিলেন, তার মধ্যেই সব শেষে উঠে এল মুকুল রায়ের নাম।

Mamata-Mukul: পাশাপাশি মমতা-মুকুল কি অতীত? একমঞ্চে থেকেও দূরত্ব রইল অনেকখানি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 5:26 PM

কৃষ্ণনগর: উৎসবের মেজাজ কাটিয়ে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের মেগা জনসভা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে মতুয়াদের উদ্দেশে কী বার্তা দেন, সেই দিকে নজর ছিল প্রত্যেকের। আর সেইসঙ্গে মমতার সভায় মুকুল রায় শেষ পর্যন্ত যান কি না, নজর ছিল সেই দিকেও। মঙ্গলবার দুপুরেই সার্কিট হাউসে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। তারপর থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল, মমতার সভায় তাঁর থাকা নিয়ে। বুধবার সেই জল্পনা সত্যি করে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের জনসভায় একমঞ্চে মমতা-মুকুল। কিন্তু ওই টুকুই। মমতার পাশের আসনে মুকুল এবং মাঝেমাঝেই মমতা-মুকুলের কথপোকথন- এমন চিত্র এর আগে একাধিকবার দেখা গেলেও, আজ কিন্তু অমিল।

রায়সাহেবের নামও অবশ্য বলেছেন মমতা। কিন্তু ব্যস ওইটুকুই। জেলার আর সব নেতাদের নাম যখন দলনেত্রী বলছিলেন, তার মধ্যেই সব শেষে উঠে আসে মুকুল রায়ের নাম। অর্থাৎ, আপাতভাবে জেলার বাকি দশজন নেতার সঙ্গে একই সারিতে মুকুল রায়কে রেখে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

খাতায় কলমে মুকুল রায় এখনও বিজেপি বিধায়ক। বিধানসভায় দুই দফা শুনানি হয়েছিল তাঁর দলবদল নিয়ে। বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়ে দিয়েছিলেন, রায়সাহেব দলবদল করেননি। তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা পরম্পরায় নজর রাখলে দেখা যাবে, তৃণমূল সুপ্রিমো-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। ভাইফোঁটার দিন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। আবার অর্জুন সিং, পার্থ ভৌমিকের মতো তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও সম্প্রতি তাঁর দেখা হয়েছে। গতকাল সার্কিট হাউসেও মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুকুল।

এই মুকুল রায়ই এককালে তৃণমূলের সেকেন্ড-ম্যান ছিলেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর উপর যথেষ্ট ভরসা করতেন সেই সময়। রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলে থাকেন, তৃণমূলের চাণক্য ছিলেন মুকুল রায়। দুঁদে রাজনীতিক ও রণকৌশলী হিসেবে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় বরাবরই নামডাক মুকুল রায়ের। যদিও বর্তমানে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তবু এরই মধ্যে মমতার সঙ্গে তাঁর একাধিকবার সাক্ষাৎ। তারপর বহুদিন পরে আবার একমঞ্চে প্রকাশ্য সভায় মমতা-মুকুল। কিন্তু কাছে এসেও যেন বহু দূরে। মাত্র একবার মুকুলের নাম উঠে এল মমতার মুখে। তাও আবার বাকি সব নেতাদের সঙ্গে।

যে মুকুল এককালে তাঁর দলের ‘সেকেন্ড-ম্যান’ ছিলেন, তাঁকে এক মঞ্চে বসিয়েও যেন কোথাও দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা দেখা গেল মমতাকে। এমনটা মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। মমতা যেখানে বসেছিলেন, তার থেকে বেশ কয়েকটি চেয়ার বাদ দিয়ে আসন পেয়েছিলেন মুকুল রায়। মমতা যখন সভা শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, পিছনে জেলার নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়। সেখানেও অনেকটা পিছনে মুকুল রায়। মমতা যখন সভামঞ্চে উঠলেন বা যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও সেখানে নেতাদের ভিড়ের মধ্যে দেখা গেল না মুকুল রায়কে। মমতা সভা শেষে গাড়িতে উঠে যাওয়ার পর মঞ্চ থেকে ধীরে ধীরে নামলেন রায়সাহেব।