Arjun Singh: ‘বিজেপির টিকিটে জিতে অন্যদলে যাওয়া যাবে না!’ মুচলেকা দেওয়ার নিদান অর্জুনের
Barrackpore: অর্জুন বলেন, "এটা শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। এখানে ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়া হবে।"
ব্যারাকপুর: দল বদলের হিড়িক আজকের নয়। কখনও ভোটের আগে অথবা কখনও পরে। একদল থেকে আর অন্যদলে যোগদান চলতেই থাকে। কলকাতার পুরোভোট ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে জেলার পুরোভোট গুলি। যার কারণে তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিরোধী থেকে শাসক প্রত্যেকেই শুরু করেছে জোর কদমে প্রস্তুতি। এরমধ্যেই নয়া নিদান দিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। বললেন, “বিজেপির টিকিটে জিতে অন্যদলে যাওয়া যাবে না।”
আসন্ন পুরভোট উপলক্ষে বুধবার বিকেলে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে শ্যামনগরের ভারতচন্দ্র লাইব্রেরী হলে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এদিনের কর্মী সম্মেলনে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ তথা বিজেপির সহ-সভাপতি অর্জুন সিং, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা ইনচার্জ মাননীয় প্রবাল রাহা মহাশয়, রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, নবনির্বাচিত জেলা সন্দীপ ব্যানার্জি, বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য কুন্দন সিং, বিজয় মুখার্জি-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিনের কর্মী সম্মেলনে হাজির হয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “আটটি পুরসভা জেতার জন্য কলা কৌশলী ঠিক করার ক্ষেত্রে আলোচনা সভা হয়েছে। তবে কলকাতার সঙ্গে ব্যারাকপুরের বিস্তর ফারাক। এটা শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। এখানে ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দেওয়া হবে। সাংসদের নিদান, ভোটে জেতার পর বিজেপির কেউ অন্য দলে যেতে পারবে না। তার জন্য মুচলেকা দিয়েই টিকিট দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভা আয়োজন করা হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন শহর সভাপতি চঞ্চল খাড়া। তার বক্তব্যে তিনি বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল নেতার বক্তব্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপিও ।
তৃণমূল নেতা চঞ্চল খাড়া বলেন, “আসন্ন পৌরসভা ভোটে বিরোধী গেরুয়া শিবিরের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তার পাশাপাশি যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বা প্রচারের থাকবেন তাদেরও সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। কারণ তারা কোনও কাজের না, মানুষের কাজে যেহেতু লাগে না তাই তাদের সামাজিক প্রয়োজন নেই। এখানেই শেষ নয়। এরপর তিনি বলেন কলকাতা কর্পোরেশন যদি ১১৬টি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করতে পারে আমরা তাম্রলিপ্ত পৌরসভা মানুষ। আমরা কেন পারব না।”