Baranagar Arms: রাত হলেই কানে আসে সেই শব্দ, সন্ধ্যার পর ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা, বরানগরের পরিত্যক্ত ওষুধের কারখানা এখন আতঙ্ক
Baranagar Arms: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব,আতঙ্কে এলাকাবাসী,নির্বিকার প্রশাসন।
উত্তর ২৪ পরগনা: বরানগরে বন্ধ পরিত্যক্ত কারখানার ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব,আতঙ্কে এলাকাবাসী,নির্বিকার প্রশাসন। বরানগর পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড নৈনান পাড়া এলাকায় ১৮ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ(BI)বেঙ্গল ইউম্যানিটি কারখানা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে এই কারখানা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর এই বন্ধ অবস্থার সুযোগ নিয়ে পরিত্যক্ত এই কারখানায় প্রকাশ্যে ও রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এই কারখানার ভিতর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিসপত্র লুঠপাট করে নিয়ে যাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের এই দৌরাত্ম্যের ফলে এলাকার মানুষ যথেষ্টই আতঙ্কিত। কারখানার ভিতর দুষ্কৃতীদের লুঠ করার সেই ছবি ধরা পড়ে TV9 বাংলার ক্যামেরায়। ,এলাকার বাসিন্দারা এতটাই আতঙ্কিত যে তাঁরা দুষ্কৃতীদের ভয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে বরানগর থানার পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও পুলিশ নির্বিকার।
তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ পাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদকে জানানো হয়েছে এই কারখানা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে অধিগ্রহণ করে এখানে ওষুধ কারখানা তৈরি করে বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করার। সরকার আমাদের এই দাবি চিন্তাভাবনা করছে।” অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাজীব মিশ্র বলেন, “আমরা এই ঘটনার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশও এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের ওপরতলার নেতৃত্ব পুরো চুপচাপ। প্রশাসনও নিশ্চুপ।”
সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, “সারা রাজ্যটাই এখন দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গিয়েছে। বন্ধ কারখানায় যন্ত্রপাতি দুষ্কৃতীরা ভেঙে নিয়ে চলে যাচ্ছে। রাজ্য সরকার নির্বিকার। রাজ্যে এখন একটা কথাই চলছে, যে মারে সেও তৃণমূল, যে মরে সেও তৃণমূল আর যে টাকা পায় সেও তৃণমূল…”