Basirhat Murder: ছেলে রথের মেলা দেখতে গিয়েছিলেন, ফাঁকা বাড়িতে ঘুমন্ত স্ত্রীর সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাজ স্বামীর
Basirhat Murder: নতুন বাড়িতেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কয়েকমাস ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। শুক্রবার বিকেলে ছেলে পাশের গ্রামে বন্ধুর বাড়িতে রথ দেখতে গিয়েছিল।
বসিরহাট: ছেলে পাশের গ্রামের বন্ধুর বাড়িতে রথের মেলা দেখতে গিয়েছিল। বাড়িতে একাই ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। সেই সময়েই ঘুমন্ত স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ স্বামীর। পারিবারিক বিবাদের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটির ভদ্রপুর গ্রামে। মৃতের নাম জ্ঞানেশ্বরী মণ্ডল (৩৩)।
ভদ্রপুর গ্রামের সিংহবাহিনী মন্দিরের পিছনে প্রদীপ মণ্ডলের বাড়ি। তিনি ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। তাঁদের বছর পনেরোর এক ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রদীপ স্ত্রীকে নিয়ে ভদ্রপুরে আলাদা বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।
নতুন বাড়িতেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। কয়েকমাস ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। শুক্রবার বিকেলে ছেলে পাশের গ্রামে বন্ধুর বাড়িতে রথ দেখতে গিয়েছিল। স্বামী স্ত্রী দু’জনে বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই ওই বাড়ি থেকে আর্তনাদ শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। পরে ঘরে ঢুকে খাটের ওপর জ্ঞানেশ্বরীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এক্ষেত্রে স্বামীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রদীপের বিরুদ্ধে। সকালে খবর পেয়ে বাড়ি ফেরে ছেলে প্রদুৎ মণ্ডল। পুলিশ স্বামী প্রদীপ মণ্ডলকে আটক করেছে। ছেলে প্রদুৎ মণ্ডল বলেন, “বাবা মা পৃথক থাকত। রান্নাও পৃথক হত। শুক্রবার আমি রথ দেখতে বন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। ওর বাড়িতেই ছিলাম। ভোরের দিকে খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে দেখি মায়ের রক্তাক্ত শরীর বিছানায় পড়ে রয়েছে।”
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঝগড়া দীর্ঘদিনের, কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল যে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন প্রদীপ? সেটাই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।