Didir Doot: চড় মেরে পলাতক ‘শান্ত স্বভাবের’ তৃণমূল কর্মী শিবম, স্ত্রী করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

Didir Doot: এদিকে, চড় মারার সেই খবর চাউর হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করে। খোদ মন্ত্রী ক্ষমা চান ওই ব্যক্তির কাছে।

Didir Doot: চড় মেরে পলাতক ‘শান্ত স্বভাবের’ তৃণমূল কর্মী শিবম, স্ত্রী করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 1:30 PM

দত্তপুকুর: চেয়ারে তখনও বসে খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। দিদির দূত হিসাবে শনিবার সকালেই দত্তপুকুর পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে ঘটল কাণ্ড। মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ করতে আসা এক ব্যক্তিকে সপাটে চড় মারলেন তৃণমূল কর্মী। তার কাণ্ডে সেই মুহূর্তে প্রায় সকলেই বমকে যায়। হঠাৎ কেন মেজাজ হারালেন তিনি সেই বিষয়টিই ঠাউর করে উঠতে পারে না কেউ। এদিকে, চড় মারার সেই খবর চাউর হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করে। খোদ মন্ত্রী ক্ষমা চান ওই ব্যক্তির কাছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে-সঙ্গে জানা যায় যিনি চড় খেয়েছেন তিনি এলাকার বিজেপি কর্মী। আর ততক্ষণে এলাকা ছেড়েই চম্পট দিয়েছেন অভিযুক্ত। তবে কে তিনি? পরিচয়ই বা কী? শুধুই কি একজন তৃণমূল কর্মী? একজন সক্রিয় কর্মীই যদি হন তাহলে তার এত সাহস হয় কী করে ভরা সভায় এক ব্যক্তির গায়ে হাত তুলবেন! এখন এই সবই জলন্ত প্রশ্ন সামনে আসছে।

অভিযুক্তের পরিচয়

অভিযুক্তের নাম শিবম রায়। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। বাড়িতে তাঁর মা-স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই পরিচিত। পরিবারের দাবি, শিবম খুবই শান্ত স্বভাবের। কিন্ত আজকে কীভাবে এমন কাণ্ড বাধালেন তা নিয়ে অবাক সকলে।ইতিমধ্যেই শিবমের হয়ে তাঁর মা ও স্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষমাও চেয়েছেন।

শিবম রায়ের মা অনিমা রায় বলেন, “আমার একমাত্র ছেলে। খুব কষ্ট করে চলে আমাদের। আমার ছেলে কোনও দিন কোনও অন্যায় করেনি। সারা গ্রাম জিজ্ঞাসা করে দেখুন ও অমন ছেলেই না।” অপরদিকে, শিবমের স্ত্রী-র অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে একদল বিজেপি কর্মী সমর্থক এসেছিল। তাঁরা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বলছে, হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে আসবে।

এ দিকে, এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা ভুল করেছে। যে করেছে তাঁর ভুল। তবে এটা এখন একটা খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিক্ষোভ করানো হচ্ছে। কারণ, দিদির দূত যাচ্ছে। যার বলার দরকার সে বলবে, যার বলার নেই সে বলবে না। এসব বিক্ষোভ তো খেলার মতো। এটাও ভুল হচ্ছে।” তবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আপাতত চড় মেরেছে। এরপর গাছে বাঁধবে।”বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা ভিডিয়োটা দেখেছি সকলেই। সেখানে একজন তৃণমূল নেতা একজন সাধারণ মানুষকে মুখের মধ্যে সরাসরি ঘুষি মেরেছেন। এদের দৌরাত্ম্য কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। এদের অহংকার এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে পতনের সময় এসে গিয়েছে। তাই জনগনের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করছে। তবে জনগনের লাথি যেদিন পড়বে সেদিন এদের কুকুর বেড়ালও রাস্তায় পাত্তা দেবে না।”

যদিও, মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “আমার সামনে ঘটেনি। ৫০০ মিটার দূরে ঘটনা ঘটেছে। আর আমাদের দলের কর্মীরা এত শৃঙ্খলাহীন নয় যে আমার সঙ্গে এমন করবে। এটা আগে থেকেই ওদের ঝামেলা ছিল।”