Halisahar Blast: মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধন্দ, গঙ্গাপাড়ের বিস্ফোরণস্থলে বম্ব স্কোয়াড, ফরেনসিক টিম
Halisahar Blast: শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে ছিল বম্ব স্কোয়াড, ফরেনসিক টিম। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরাও রয়েছেন। নিখোঁজদের খোঁজে এখনও তল্লাশি জারি।
হালিশহর: হালিশহরের জগন্নাথ ঘাটে বোমা ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ এক জন। তদন্তে শুক্রবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে বম্ব স্কোয়াড। কী ধরনের বিস্ফোরক, তা জানতে ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দলও।
বারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা জানিয়েছেন মৃতের সংখ্যা এক। নিখোঁজ ২। যদিও নিখোঁজ একজনের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁদেরকে দেহ শণাক্ত করার জন্য শুক্রবার সকালে ডাকা হয়েছিল। তাঁরা দেহ শণাক্ত করে এসেছেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা ২ হতে পারে।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় বম্ব স্কোয়াড, ফরেনসিক টিম। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরাও রয়েছেন। নিখোঁজদের খোঁজে এখনও তল্লাশি জারি। জানা যাচ্ছে, একটি ডালডার কৌটোয় বোমা রাখা ছিল। তবে একটা বিষয় নিয়ে ধন্দ থেকেই গিয়েছে। আদৌ কি মজুত বোমাতে পা লেগে বিস্ফোরণ নাকি গঙ্গাঘাটে বসে বাঁধা হচ্ছিল বোমা? তা এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা।
প্লাস্টিক কৌটোর টুকরো টুকরো অংশ এখনও পড়ে ঘটনাস্থলে। তদন্তকারীরা সেগুলি খতিয়ে দেখছেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মাটি ৩ ফুট পর্যন্ত গর্ত হয়ে গিয়েছে। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রায় ২০০ গজ পর্যন্ত দূরে ছড়িয়ে পড়েছে ঘাটের মাটি। দেহ উঠে গিয়েছিল প্রায় ৪০ ফুট ওপরে। বাকি দেহ ছিটকে গঙ্গায় পড়তে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল বলেই মনে করছেন তাঁরা।
ঠিক কী হয়েছিল?
বৃহস্পতিবার হালিশহরের কোনা মোড়ে জগন্নাথ ঘাটে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ওইদিন ঘাটের সামনে খেলছিল কয়েক জন শিশু। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আচমকাই বিকট শব্দ শোনা যায়। দেখা যায়, যে সব শিশু ওই এলাকায় খেলছিল তাদের মধ্যে তিন জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেকেই গুরুতর আহত।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সুমিত সিংহ নামে এক যুবকের মৃ্ত্যু হয়েছে। ওই যুবকের দেহ বিস্ফোরণের জায়গা থেকে প্রায় ৪০ ফুট উপরে একটি গ্যারাজের চালে এসে পড়েছিল। সেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জনতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিট্টু জওসওয়াল নামে ওই যুবক অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। ঘটনার পর থেকে থমথমে রয়েছে এলাকা। গোটা চত্বর ঘিরে রেখেছে পুলিশ।