Kali Pujo: কেঁপে উঠেছিল ‘বিস্ফোরণ’-এ, কালীপুজোর আগে বিক্রিবাটা হচ্ছে নুঙ্গির বাজি বাজারে?
Kali Pujo: রাস্তার দু'ধারে সারি সারি বাজির দোকান। দোকানে বাজির পসরা সাজিয়ে বসলেও সেভাবে ক্রেতাদের আনাগোনা নেই। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। বিক্রেতাদের কথায়, পুলিশি অভিযানের কারণে মাস ছয়েকেরও বেশি সময় বাজির কারবার বন্ধ ছিল এই এলাকায়।
নুঙ্গি: মাস কয়েক আগে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে মহেশতলা নুঙ্গি বাজারে, বাজি বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু হয় একই পরিবারের দু’জনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। শুরু হয় নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয়ের অভিযান। তারপরে কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। আসন্ন দীপাবলি। তার আগে কেমন আছে নুঙ্গি বাজার? খোঁজ নিতে পৌঁছে গেল টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরা।
রাস্তার দু’ধারে সারি সারি বাজির দোকান, দোকানে বাজির পসরা সাজিয়ে বসলেও সেভাবে ক্রেতাদের আনাগোনা নেই। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি অনেকেই। বিক্রেতাদের কথায় পুলিশি অভিযানের কারণে মাস ছয়েকেরও বেশি সময় বাজির কারবার বন্ধ ছিল এই এলাকায়। যেখানে বাজি নির্ভর মানুষের জীবন সেখানে দীর্ঘদিন কোন কাজকর্ম না হওয়ায় কিছুটা হলে মুখ থুবড়ে পড়েছে নুঙ্গির বাজি বাজার। স্থানীয়ভাবে কোনওরকম বাজির প্রোডাকশন না হওয়ায় বাইরে থেকে বাজি আমদানি করে ব্যবসা করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাতেই খানিক হতাশার সুর তাঁদের গলায়।
এলাকার এক খুচরো বাজি ব্যবসায়ী বলছেন, “ব্যবসা তো ভাল হচ্ছে না। আমরা বছরে একবার করে বাজির দোকান বসাই। তাও পুলিশ এসে ঝামেলা করে। সে কারণে ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারি না। দুর্ঘটনায় ওই মৃত্যুর পর তো সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর প্রায় ৬ মাস পর আমরা ফের ব্যবসাটা চালু করেছি। কারখানা এতদিন বন্ধ ছিল। তবে এখন ফের শুরু হয়েছে। সব নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে।”
আর এক ব্যবসায়ী বলছেন, “খদ্দের তো সেরকম নেই। ভয়ে কেউ আসে না। যে ঘটনা ঘটেছে তা ভোলা তো এত সহজ নয়। কিন্তু, আমাদের তো বহু বছরের কারবার। আর এখানে কোনও শব্দবাজি তৈরি হয় না। যা রটছে সবই ভুব। এখানে শুধু আতসবাজি তৈরি হয়। কালিপুজোর কটা দিন তো শুধু বিক্রি। উৎসবের মরসুমে বাড়তি কিছু লাভের আশাতেই তো ঝাঁপ খুলে বসে দোকানিরা।”